কলকাতা : বুধবার রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরানোর পর, বৃহস্পতিবার লোকসভা ভোটের স্টার ক্যাম্পেনারের পদ থেকেও কুণাল ঘোষকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কুণাল ঘোষ সরাসরি বলেছেন, সিদ্ধান্তের নেপথ্য়ে তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা-নেত্রীর সম্মতি রয়েছে। আর এরপর শুক্রবার ফের তিনি করলেন এক তীর্যক পোস্ট। নিশানায় এবার আইপ্যাক।
বুধবার এবিপি আনন্দর ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে এসে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেখানে তিনি বারবার বলেন, 'কে কুণাল ঘোষ ?' । তিনি এও দাবি করেন, দলের অনেক সিদ্ধান্ত তিনি সাংবাদিক বৈঠক করার ৫ মিনিট আগেই জানতে পারেন। এরপর বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, 'এরকম দশটা কুণাল ঘোষ আসবে যাবে, এখানে যাঁরা শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু স্বার্থে থাকবে, মন যুগিয়ে চলবে, সব হ্যাঁতে হ্যাঁ বলবে, নিজস্ব কোনও ব্রেন থাকবে না। নিজস্ব কোনও বিবেক থাকবে না। নিজস্ব কোনও উদ্ভাবনী শক্তি থাকবে না, নিজস্ব কোনও উদ্যোগ থাকবে না, কিছু যন্ত্র থাকবে, তাঁরা শৃঙ্খলপরায়ণ বা শৃঙ্খলাপরায়ণ ভাবে চলবে, পার্টি সুশৃঙ্খল থাকবে।'
এরপরই শুক্রবার একটি ইঙ্গিতবহ ট্যুইট করলেন কুণাল ঘোষ। সেখানে স্পষ্ট কটাক্ষ। স্পষ্ট তাঁর হতাশা। এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে কুণাল নিজের সম্পর্কে দুটি শব্দ ব্যবহার করেছেন, যা থেকে কার্যত স্পষ্ট তিনি কতটা বিরক্ত । 'অপদার্থ' ও 'দলবিরোধী' এই দুটি শব্দকে তিনি কোটের মধ্যে রেখেছেন। সেই সঙ্গে তিনি একজনের নাম সাজেস্ট করেছেন, তাঁর শূন্যস্থান পূরণের জন্য। তিনি লিখেছেন, কুণাল ঘোষের শূন্যপদে মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আইপ্যাকের প্রতীক জৈনকে নিয়োগ করা হোক। সেই সঙ্গে কুণালের তীর্যক মন্তব্য, ' দলটা ওরা এত ভালোভাবে চালাচ্ছে যে সাংগঠনিক পদও প্রতীকের প্রাপ্য। দলের মঙ্গল হোক।'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের বেশ কিছু দিন আগে থেকেই তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে আইপ্যাক। আর এই আইপ্য়াকেরই সহ প্রতিষ্ঠাতা প্রতীক। তাঁর টিমই তৃণমূলের ভোটের লড়াইয়ের স্ট্র্যাটেজি প্ল্যান করেন। তাই এবার কুণালের নিশানায় প্রতীক।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে