কলকাতা: ভোটের মুখে তৃণমূলে (TMC) বড় ধাক্কা। দল ছাড়ছেন তাপস রায় (Tapas Roy)? সূত্রের খবর, 'বারবার তাপসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা দলের। কারও ফোন ধরেননি তাপস রায়, বাড়িতে গেলেন এক মন্ত্রী।
তাপস রায়ের দল ছাড়ার জল্পনা: তৃণমূল ছাড়ছেন তাপস রায়? দিন দুয়েক আগেই দলীয় পদ ছেড়েছেন তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন কুণাল ঘোষ। আর এবার, বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের তৃণমূল-ত্যাগের জল্পনা। আর লোকসভা ভোটের আগে প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের অন্দরের ফাটল কি আরও চওড়া হচ্ছে? বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। যিনি আবার বিধানসভার মুখ্য সচেতক। যিনি বর্তমানে দমদম - ব্য়ারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদেও রয়েছেন। শুক্রবার দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে, তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা ও কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপির লোক বলে নিশানা করেন কুণাল ঘোষ। শনিবার একই সুরে তাপস রায়ও সুদীপের তুলোধোনা করেন। অনেকেরই প্রশ্ন, এরপরই কি ঘটনাপ্রবাহ অন্যদিকে মোড় নিল?
সূত্রের দাবি, শনিবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে পরপর ৩ বার ফোন যায় তাপস রায়ের কাছে। কিন্তু, তাপস রায় ফোন তোলেননি বলে সূত্রের দাবি। জানা গিয়েছে, এরপরই একজন মন্ত্রীকে তাপস রায়ের বাড়িতে পাঠানো হয়। কী কথা হয়েছে তা জানা না গেলেও, বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন - সেই মন্ত্রীর কাছেই কি তাপস রায় তাঁর দল ছাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে দেন? একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও এই বিষয়ে, বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সুদীপকে আক্রমণ তাপসের: গতকাল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তাপস রায় বলেন, 'কুণাল সুদীপ সম্পর্কে যে অভিযোগ করেছে সে বিষয়ে দলের নেতা-নেত্রী সবাই সব কথা জানে। সুদীপ যখন অন্য দলে যখন চলে গেছিলেন তখন নেত্রীর সম্পর্কেও অনেক কথা বলেছেন। কোনও রাজনৈতিক দল করাই অন্যায় নয়। কিন্তু একটা দল করে অন্য দলের স্বার্থরক্ষা করা, খবরাখবর পাচার করাটা পাপ। তৃণমূলের খাচ্ছে-পরছে কিন্তু আসলে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই দোষে দুষ্ট। উত্তর কলকাতায় এবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রার্থী হলে গোহারা হারবে। সুদীপের ইলেকশন এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছিলাম। কিন্তু নির্বাচনের পর ওর প্রথম টার্গেট হল কী করে উত্তর কলকাতা থেকে আমাকে সরানো যায়। দলও আমাদের প্রার্থী না করে সোমেন মিত্রর স্ত্রী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রীকে প্রার্থী করল। কোনওদিন মানুষের জন্য, দলের জন্য, কর্মীদের জন্য সময় খরচা করেননি। আমার বাড়িতে ED ঢোকানোর পিছনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা আমাকে আমার দলের, লোকসভা-রাজ্যসভা সব মিলিয়ে অন্তত ৪০ জন বলেছে। ED-র কয়েকজনের সঙ্গে ওর ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে তাদের দিয়ে করিয়েছে। উত্তর কলকাতায় প্রার্থী হিসাবে আমার নাম উঠে আসছে বলে এগুলো করছে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।