তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে পোস্টার, ফ্লেক্স ছিঁড়ে, পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনা বাঁকুড়ার বিষ্ণুুপুরের। বিজেপির অভিযোগ, অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে গতকাল রাতে তাণ্ডব চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ছবি ও পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় তৃণমূলের এই হামলা বলে বিজেপির দাবি।


ফ্লেক্স ছিঁড়ে, পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল: বিষ্ণুপুর পুরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় করা হয়েছে। কার্যালয়টি সাজানো হয়েছিল দলীয় ফ্লেক্স এবং পতাকা দিয়ে। বিজেপির অভিযোগ গতরাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপির এই কার্যালয়ে তাণ্ডব চালায়। তাদের নেতা নেত্রীর দেওয়া ছবি ছিঁড়ে জঙ্গলে ফেলে দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনকী কার্যালয়ের বাইরে উত্তোলন করা দলীয় পতাকাটি চুরি করে নিয়ে যায় এই দুষ্কৃতীরা। রাতেই বিজেপির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে বিষ্ণুপুর থানায়। বিজেপির দাবি, তৃণমূল দলের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাদের করার কিছু নেই তাই তারা এই ধরনের কাজ করছে।                               


অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা তোপ তৃণমূলের: যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এবিষয়ে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের কাজে বিশ্বাসী নয়। তারা উন্নয়ন করতে ব্যস্ত। যে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। মানুষ বিজেপির পাশে নেই। যে কজন দলীয় কর্মী আছে তাও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ভরপুর। নিজেরাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করে নিজেদের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে, পতাকা চুরি করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে দোষারোপ করছে।''


হুগলিতেও একই ঘটনা: শুধু বাঁকুড়াই নয়। একই ধরনের অভিযোগ সামনে এসেছে আরও এক জেলা থেকে। ভোটের আগে হুগলির বলাগড়ে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয় থেকে ছেঁড়া হয় পোস্টার, ফ্লেক্স। হুগলির বলাগড়ে জিরাট বাস  স্ট্যান্ড লাগোয়া বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়েও পোস্টার, ফ্লেক্স ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুটি ঘটনাতেই বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলকে দায়ী করেছে তৃণমূল শিবির। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: WB Summer Vacation: এগিয়ে আনা হল গরমের ছুটি, নোটিস জারি স্কুল শিক্ষা দফতরের