বিষ্ণুপুর: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Elections 2024) প্রচারে এসে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি (BJP) ৩০ আসন জিতবে বলে দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গ বিজেপির নেতা-নেত্রীদের গলাতেও সেই একই সুর শোনা গেছিল। কিন্তু, ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, মাত্র ১২টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। এরপর রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যায় বর্ধমান-দুর্গাপুরের পরাজিত প্রার্থী ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কিংবা বিষ্ণুপুরে জয়ী হওয়া সৌমিত্র খাঁকে (Bishnupur BJP MP Saumitra Khan)। মঙ্গলবার ফের বঙ্গে বিজেপির ভরাডুবির জন্য রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের জন্য ২৪ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি চিঠি লিখবেন বলেও জানালেন।


এপ্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁ বলেন, "তৃণমূলে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই আমার। আর রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি আমার রাগও নেই আবার ভালোবাসাও নেই। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার করে এত সুযোগ দেওয়ার পরেও লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছি না। সেটা আমাদের রাজ্য নেতৃত্বের ব্যর্থতা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা যেমন সারা ভারতের মানুষ পাচ্ছে। তেমনি আমার এলাকার গরিব মানুষরাও যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা পান তার জন্য আগামী ২৪ তারিখ আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব। আমি চাই ১০০ দিনের কাজও এখানে চালু হোক। উন্নয়নের স্বার্থে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে পারি। শুধু টাকা আটকে রাখলেই হয় না। বিজেপির টিকিটে জিতেছি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাকে সুযোগ দিয়েছে। এটার অমর্যাদা আমি করব না। বিজেপি কর্মীদের মর্যাদাও আমি রাখব। তবে বিষ্ণুপর, বাঁকুড়া ও পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য যদি আমাকে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিতে হয়, তাহলে দেব। যদি উনি বাঁকুড়াতে আসেন আর আমাদের আমন্ত্রণ করেন, তাহলে বিষ্ণুপুরের উন্নতির জন্য, বাঁকুড়া জেলার উন্নতির জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেও রাজি আছি। এটাতে কোনও অন্যায় নেই। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যদি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে পারেন তাহলে বিষ্ণুপুর ও বাঁকুড়া জেলার উন্নতির জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করতে পারি।"  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: BJP Agitation:প্রতিনিধিদল ফিরে যেতেই আমতলার পার্টি অফিসে তালা ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের