শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করলেও এবারের লোকসভা ভোটে (Loksabha Elections 2024) কোচবিহার আসনটা হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। তৃণমূল কংগ্রেসের জগদীশ চন্দ্র বর্মা বাসুনিয়ার (Coochbehar MP Jagadish Chandra Barma) কাছে হেরেছেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক (BJP leader Nisith Paramanik)। তারপর থেকেই সেখানে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। রবিবার এই বিষয়ে মুখ খুলে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন নবনির্বাচিত সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বাসুনিয়া।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন,"বিজেপি যেন সন্ত্রাসের কথা না বলে। গত লোকসভা নির্বাচনে নিশীথ প্রামাণিক জয়ী হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বাড়ি ছাড়া হয়েছিলেন। আমি নিজেও বিধায়ক থাকাকালীন তিন মাস বাড়ি ছাড়া ছিলাম। তাই এই ধরনের কথা বিজেপির মুখে মানায় না।"
গতকাল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কোচবিহারে এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন। তা খারিজ করে দিয়ে জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া বলেন, "কোচবিহারে ভোটের পর কোনও সন্ত্রাস হচ্ছে না। তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে বিজেপি। গতকাল রাতেও বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন জেলা তৃণমূল পার্টি অফিসে এসে।"
আরও পড়ুন: Suti News: জমি নিয়ে বিবাদের জের, নৃশংসভাবে খুন যুবক
লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের হুমকি ও হামলার জেরে গেরুয়া শিবিরের বহু কর্মী ও সমর্থক ঘরছাড়া হয়েছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। কোচবিহারে অবস্থিত বিজেপির সদর দফতরে ঘরছাড়া প্রায় ২০০ জন আশ্রয় নিয়েছেন বলেও তাদের দাবি। শনিবার কোচবিহারে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নিশীথ প্রামাণিকও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোটের ফল বেরোনোর পর কোচবিহারের পঞ্চায়েতগুলি একের পর এক তৃণমূলের দখলে যেতে শুরু করেছে। গোটা জেলায় মোট ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির দখলে আসে তার মধ্যে ২৪টি। কিন্তু, লোকসভা ভোটের পর একে একে সাতটি পঞ্চায়েত তৃণমূল দখল করায় এখন বিজেপির দখলে রয়েছে ১৭টি। এর মধ্যে আবার তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি পরিচালিত অন্দারন ফুলবাড়ি ১ নম্বর, নাটাবাড়ি ১ নম্বর ও মাথাভাঙার লতাপোতা পঞ্চায়েতে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।