রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: এত বড় আর মাছ (Long Whiskered Fish  In Jalpaiguri Market)? শনিবার বাজারে মাছ কিনতে এসে চোখ কপালে ক্রেতাদের। তাঁদের উৎসাহ দেখে বেজায় খুশি বিক্রেতা অজয় দাস। ৭০ কিলোগ্রাম ওজনের আর মাছ তো প্রত্যেক দিন ওঠে না। সব মিলিয়ে তাই উৎসবের মেজাজ জলপাইগুড়ির মাছের বাজারে। 


আর মাছ নিয়ে আরও একটু...
পড়শি রাজ্য বিহার থেকে শনিবার সকালেই বাঘা আর মাছটি ঢুকেছে। পেল্লায় আকারের মাছের ওজন ৭০ কেজি। দেখার জিনিস বটে! অজয় দাসের দোকানে সেই 'দানব-মৎস্য' দেখতে ভিড় পড়ে যায়। কিন্তু মাছ দেখে কি স্বাদের আন্দাজ পাওয়া সম্ভব? চেখে দেখতেও তো হয়। তাই কেজি প্রতি ৫০০ টাকা দর দিয়ে সেই মাছ কিছুটা বাড়িতেও নিয়ে গিয়েছেন ক্রেতাদের কেউ কেউ। বিক্রেতা জানান, এমন পেল্লায় সাইজের মাছ এই প্রথম বাজারে এসেছে। তাঁর কথায়, 'এটা গঙ্গার মাছ। বিহার থেকে এসেছে। জলপাইগুড়ির মানুষ এই মাছ সম্পর্কে সে ভাবে জানেন না। কিন্তু আজ এত বড় মাছ দেখে প্রত্যেকে কিনছেন। অসমে অবশ্য এই মাছের চাহিদা অনেক।'

অতীতে কাতলার খোঁজ...
গত বছর অগাস্টে গঙ্গায় ৫০ কিলোর কাতলা উঠেছিল। মানিকচকের গঙ্গায় ধরা পড়ে মাছটি।  ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে গঙ্গার মাছ বিক্রি হয়। প্রায় ৫০ কেজি ওজনের গঙ্গার কাতলা মাছ কিনতে হিড়িক নেতাজি পৌর বাজারের। মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, এই প্রথম বাজারে প্রায় ৫০ কেজি ওজনের মাছ এসেছে। বিক্রি করা হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। ভরা বর্ষায় গঙ্গায় রুপোলি ইলিশ ওঠার ঘটনা প্রায়শই ভোজনরসিকদের উৎসাহিত করে। তবে রাতভর প্রবল বর্ষণের মাঝে যে এমন বিশালাকার কাতলা মাছ উঠে আসবে, তা বোধহয় মৎসজীবীরা সে সময় ঠাহর করতে পারেননি। এমনিতেই হাওয়া অফিসের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল, যেনও সমুদ্রে না যায় মৎসজীবীরা। সেই মতোই নির্দেশ মেনে নেন জেলে-মাঝিদের দল। তবে গঙ্গার বুকে নিজেই এসে যদি এত বিশালাকার রই মাছ এসে ধরা দেয়, তাহলে আর পায় কে ! স্বাভাবিকভাবেই এদিন মালদার মাছ বাজারের ওই বিশালাকার কাতলা কিনতে হিড়িক পড়ে গিয়েছে।গতমাসের মাঝামাঝি, মরশুমের শুরুতেই দিঘা মোহনায় উঠেছিল ২৫ টন ইলিশ। তবে সেই ইলিশের সাইজ ঠিক গঙ্গায় পাওয়া এই কাতলার মতো ছিল না। ১৫ জুন নাগাত দিঘা মোহানায় জালে উঠে আসা ইলিশের ইলিশগুলির ওজন ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম।


আরও পড়ুন:আদিবাসী মহিলা ও নাবালিকাকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলায় মালদা জেলা আদালত দোষী সাব্যস্ত ৫