করুণাময় সিংহ, মালদা: আদিবাসী এক মহিলা ও নাবালিকাকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল মালদা জেলা আদালত (Conviction In Malda District Court)। গত কাল, শুক্রবার, তাদের ২০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছ'মাসের কারাদণ্ড, জানায় মালদার অতিরিক্ত দায়রা আদালত।
কী জানা গেল?
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে, বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে এক আদিবাসী মহিলা ও নাবালিকাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওটে ৫ যুবকের বিরুদ্ধে। এতেই শেষ নয়। আরও অভিযোগ ছিল, মহিলাকে ধর্ষণ করে ২ যুবক। ৩ যুবকের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। মালদার হবিবপুর থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল। মালদা জেলা আদালতের স্পেশাল পিপি অসিত বসু বলেন, 'বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে আদিবাসী এক মহিলা ও নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের মামলায় পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই মামলায় মোট ২২জনের সাক্ষী নেওয়া হয়।' ধৃতদের দু'জনকে ভারতীয় দণ্ড বিধির ধর্ষণের ধারা অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ছিল। পাঁচ আসামির নাম বচ্চন হেমব্রম, জোসেন মার্ডি, সাইলেন সোরেন, মনোরঞ্জন হাঁসদা এবং মদন কিস্কু।সাজাপ্রাপ্তদের স্বজনরা অবশ্য বলছেন, 'তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ সত্য নয়।' সাজাপ্রাপ্তদের একজনের আত্মীয় বলেন, 'আমরা আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার চেষ্টা করছি।' কবে যে গতিতে
দ্রুত সাজা...
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে বিহারের একটি আদালত ছ’বছরের দলিত কন্যার ধর্ষণ মামলায় চার্জশিট জমা পড়ার ১৫ দিনের মধ্যে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে। ১৫ দিনে মাত্র তিন বার শুনানি হওয়ার পরই সাজা শোনান বিচারক, যা নজর কেড়েছিল সমাজকর্মীদের। ওই মামলায় ৪৮ বছরের মহম্মদ মাজহার নামের এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। দোষী ব্যক্তি বিহারের আরারিয়া জেলার ভার্গমা থানার অন্তর্গত বীরনগর পশ্চিমের বাসিন্দা। ওই ব্যক্তিকে সাজা শুনিয়েছিলেন এডিজে-৬ তথা যৌন নির্যাতন থেকে শিশু সুরক্ষার জন্য গঠিত পকসো আইনের বিশেষ বিচারক শশীকান্ত রাই। পকসো আইনেই অপরাধীকে সাজা শোনানো হয়। নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে সরকারি তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয় জেলার আইন পরিষেবা বিভাগের সচিবকে।
আরও পড়ুন:মাত্র ৫০০ টাকার জন্য! বাংলাদেশে রুপো পাচারে পথে BSF-এর হাতে ধৃত প্রৌঢ়