কলকাতা: এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023)। রয়েছে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনও (Lok Sabha Elections 2024)। তার আগেই জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারাল তৃণমূল (TMC Loses National Party Status)। ভিন্ রাজ্যে একাধিক বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফলের জেরে, চার রাজ্যে 'স্থানীয় দলে'র তকমা না থাকায় ,তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা প্রত্যাহার নিল নির্বাচন কমিশন। ফলে এখন থেকে শুধু আঞ্চলিক দল হিসেবেই ধরা হবে বাংলার শাসকদলকে। আর তাতেই নির্বাচনী রাজনীতিতে তৃণমূলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে কাটাছেঁড়া (TMC News)। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কড়ায় গণ্ডায় তৃণমূলকে এর মূল্য চোকাতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারানোর পর একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে তৃণমূলকে। যেগুলি হল-
- ইভিএম অথবা ব্যালট পেপারে জাতীয় দলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখা যাবে না তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন।
- দলের নামের আগে আর 'সর্বভারতীয়' শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে না জোড়াফুল শিবির।
- নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে জাতীয় দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানাতে হয়। এ বার থেকে তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানাতে বাধ্য থাকবে না নির্বাচন কমিশন।
- জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারানোয়, আর্থিক অনুদানেও বড় ধরনের ফারাক লক্ষ্য করা যেতে পারে। ২০২৪-এর আগে বিরোধী জোটে কাণ্ডারীর ভূমিকায় যেখানে নিজেদের ভাবতে শুরু করেছে জোড়াফুল শিবির, সেখানে অর্থের জোগান কমলে, সমস্যা হবেই।
জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারিয়ে তৃণমূল যদিও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে সরাসরি আদালেত চ্যালেঞ্জ জানানোর পরিকল্পনা করছে তারা।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেসকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরবর্তীকালে ২০২১-এর বঙ্গ বিধানসভা ভোটে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলেও, মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটে শোচনীয় ফল হয় তৃণমূলের।
এই দুটি রাজ্যেই রাজ্য দলের তকমা হারায় বাংলার শাসকদল।
ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনেও শূন্য হাতে ফিরতে হয় তৃণমূলকে। প্রাপ্ত ভোট শতাংশ ছিল নোটার থেকেও কম, ০.৮৮ শতাংশ। গোয়া বিধানসভা ভোটে মাত্র ৫.২ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। একটিও আসনে জিততে পারেনি তারা। তার পরই বাদ গেল জাতীয় স্বীকৃতি।