ভাস্কর ঘোষ, বেলুড় : মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হল বেলুড়ে। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসার বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যাায়। মহাকাশে প্রাণের অস্তিত্ব থেকে নিজের জীবনের ওঠাপড়া - সবই উঠে এল তাঁর বক্তব্যে।
মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনে এবার বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণমিশন বিদ্যামন্দিরের প্লেসমেন্ট ও কেরিয়ার কাউন্সেলিং সেলের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত হল এক দিনের আন্তর্জাতিক সেমিনার। বেলুড় বিদ্যামন্দিরের ছাত্ররা ছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন নানা স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকারাও। শনিবার দুপুর ২টো থেকে শুরু হয় সেমিনার। একমাত্র আলোচক হিসেবে ছিলেন নাসার জেট প্রপালশন (জেএলপি) বৈজ্ঞানিক এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (ক্যালটেক) বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায়।
বিবেকানন্দ সভাগৃহে অনুষ্ঠিত হয় এই সেমিনার। আলোচনার শুরুতেই গৌতমবাবু কোন্নগরের নবগ্রামের ছাপোষা নিম্নবিত্ত পরিবারের পরিমন্ডল থেকে শুধু অধ্যাবসায়ের জোরে নাসার অতি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগারে একজন মহাকাশ বিজ্ঞানী হিসাবে যোগদানের সুদীর্ঘ পথের কথা উল্লেখ করেন।
এদিনের আলোচনায় পৃথিবীর বাইরে মহাকাশের কোথাও প্রাণের সন্ধান রয়েছে কি না তারই সন্ধানে সৌরমণ্ডলের অভ্যন্তরে ও তার বাইরে অনুসন্ধানের নানা পর্যায়ের বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিবরণ তুলে ধরেন গৌতমবাবু। মহাকাশের অপার রহস্যের সমাধানে যুগেযুগে বৈজ্ঞানিকদের নিরন্তর সাধনা ও ক্রমে পরতে পরতে মহাকাশের রহস্য উন্মোচনের ঘটনাগুলি গল্পের মতো উঠে আসে তাঁর আলোচনায়। সঙ্গে ছিল বড় পর্দায় প্রজেক্টরের সহায়তায় গ্রাফিক্স, ছবি ও মহাকাশের নানা দৃশ্য।
আরও পড়ুন, ‘গগনযানে’ চেপে ভারতের হয়ে মহাকাশে, চার নভোচারীর নাম প্রকাশ করলেন মোদি
মঙ্গলের আবহাওয়ায় মহাকাশ অবতরণের নানা ঝক্কি ও তার থেকে উদ্ধার পেতে ছোট আকারের জুতোর বাক্সের আকারের স্যাটেলাইটের ভাবনা থেকে শুরু করে মহাকাশযান রোভারের পেটের নিচে খুদে হেলিকপ্টার পাঠানোর পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের নানা জটিলতার কথাও সুন্দর ভাবে তুলে ধরেন বাঙালী বিজ্ঞানী। শেষে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। জমজমাট মহাকাশ নিয়ে আলোচনা এদিন উপভোগ করেছেন সভাগৃহে উপস্থিত সকলে।