নয়াদিল্লি: আর শুধু মহাকাশযান নয়, মহাশূন্যে মানুষ পাঠানোর দিকেও এগোচ্ছে ভারত। মোট চারজন মহাকাশচারীকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই অভিযানের জন্য। মঙ্গলবার সেই চার মহাকাশচারীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিরুঅনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে ওই চারজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন তিনি। (Gaganyaan Mission)


'গগনযান' অভিযানের জন্য যে তার মহাকাশচারীকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন, গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণণ নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণণ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্ল। 'গগনযান' অভিযানের আওতায় তিন ভারতীয় মহাকাশচারীদের রকেটে চাপিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথের নিম্ন অংশে পাঠানো হবে। তিন দিন পর আবার ফিরিয়ে আনা হবে পৃথিবীতে। অবতরণ করানো হবে জলভাগে। (ISRO Mission)


অভিযানের জন্য এই চার মহাকাশচারীকে বেছে নেওয়া হয়। শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় উতরোতে হয় তাঁদের। তার পর চলে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ। রাশিয়াতেও মহাকাশ অভিযানের প্রশিক্ষণ নেন তাঁরা। মহাকাশে যে কোনও পরিস্থিতিতে যাতে মানিয়ে নিতে পারেন, প্রাণ বাঁচাতে পারেন নিজেদের, সেই প্রশিক্ষণও পেয়েছেন ওই চার মহাকাশচারী।



আরও পড়ুন: Men on Moon: একের পর এক অভিযান, এখনও পর্যন্ত চাঁদের মাটি ছুঁয়েছেন হাতেগোনা কিছু মানুষই, কারা জানেন?


ওই চার মহাকাশচারীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করে এদিন মোদি বলেন, "গগনযানের চার যাত্রীর নাম জানতে পারলেন দেশবাসী। কিন্তু এগুলি শুধুমাত্র চার মানুষের নাম নয়। চার অদম্য শক্তির নাম, যাঁরা ১৪০ কোটি ভারতীয়র মহাকাশ-স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চলেছেন। ৪০ বছর পর কোনও ভারতীয় মহাকাশে যাচ্ছেন। তবে এবার আমাদের নিজেদের রকেটে চেপে যাওয়া হচ্ছে।"


এর আগে, ১৯৮৪ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে পা রাখেন উইং কমান্ডার রাকেশ শর্মা। তিনি সোভিয়েত মিশনের অংশ ছিলেন তিনি। এদিন মোদি জানান, তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে যখন আত্মপ্রকাশ করবে ভারত, ওই একই সময়ে 'গগনযান'  ভারতকে মহাকাশ অভিযানের জগতে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এই অভিযানে ভারতের মহিলা বিজ্ঞানীদেরও সমান যোগদান রয়েছে, তাঁদের ছাড়া এই অভিযান অসম্পূর্ণ বলে জানান মোদি।


'গগনযান' অভিযানের আওতায়  তিন জন মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠাবে ISRO. তবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে 'গগনযান' অভিযানের আওতায় মহাকাশে রোবট নারী বা যন্ত্রমানবীকে পাঠানো হবে। মহাকাশে নভোচারীদের পাঠানোর চেয়ে, তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা ঢের বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই মেপে মেপে পা ফেলা হচ্ছে।