অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: এবার জেলা হাসপাতালেও পুরসভার তরফে চালু হল মা ক্যান্টিন (Maa Canteen)। রাজ্যের এই উদ্যোগে খুশি অসম (Assam) থেকে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীর পরিবার-পরিজনেরা। সারা ভারতে এমন উদ্যোগের দাবী তাদের। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে, রাজ্যের আর্থিক দৈনদশায় পুরসভার এই ভর্তুকি প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ জেলা বিজেপির। যদিও এর পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।  


আলিপুরদুয়ার পুরসভার উদ্যোগে কলেজহল্ট এলাকায় বহুদিন ধরেই সফলভাবে চলছে একটি মা-কিচেন। সেই সফলতায় এবার জেলা হাসপাতালে বিভিন্ন প্রান্তের রোগীর পরিবারের কথা মাথায় রেখে চালু করা হল এই মা কিচেন। যেখানে মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যাবে ডাল,সবজি, ডিম-ভাত। হাসপাতাল চত্ত্বরেই কর্তৃপক্ষের দেওয়া একটি হল ঘড়ে চালু হলো এই প্রকল্প।  


মা কিচেন চালুর প্রথম দিনে রোগীর পরিবারেরা এই সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত। অসম থেকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে বাবার চিকিৎসার জন্য আসা এক রোগীর ছেলে জানালেন দু'দিন ধরে তিনি এখানেই রয়েছেন। বহু টাকা খরচ করে হোটেলে খাচ্ছিলেন। এবার ৫ টাকার খাবার পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী দিদিকে এই প্রকল্পের জন্য জিন্দাবাদ জানান। বাংলার মূখ্যমন্ত্রীর মতো এমন প্রকল্প অসম সহ সারা ভারতবর্ষেই চালুর দাবী রাখেন তিনি। 


আরও পড়ুন, কমেনি কালো টাকা, গরিবরা আরও গরিব হয়েছে! নোটবন্দির ৬ বছরে মোদি সরকারকে কটাক্ষ বিরোধীদের


যদিও এই প্রকল্পকে সাধুবাদ জানিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জেলা বিজেপি। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, রাজ্যের আর্থিক দৈনদশায় এই ভর্তুকিযুক্ত প্রকল্পের ভবিষ্যত নিয়েই আশঙ্কা রয়েছে। আগামী দিনে এই সুযোগ সকলে আদৌ পাবে কি না। যদিও এর পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেন, বিজেপির কাজই ভালো কাজের বিরোধিতা করা। তারা আগে বাংলার প্রাপ্য টাকার জন্য দিল্লিতে দরবার করুক। তাহলে বোঝা যাবে তারা মানুষের সঙ্গে আছে।                                                


এর আগে খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ইংরেজবাজার পৌরসভার উদ্যোগে মা ক্যান্টিনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। সোমবার দুপুরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, মালদা মেডিকেল কলেজের এম এস ভি পি পুরঞ্জয় সাহা, ইংরেজবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর সন্ধ্যা দাস, কাকলি চৌধুরীসহ অন্যান্য কাউন্সিলর, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।