সুনীত হালদার, হাওড়া : কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার সদস্য সন্দেহ কাশ্মীরে গ্রেফতার হাওড়ার ছেলে। মাদ্রাসায় পড়ানো আর জামাকাপড়ের ব্যবসার আড়ালে কি চলত জঙ্গি কার্যকলাপ ? কাশ্মীরের (Kashmir) রামবানে সন্দেহভাজন আল কায়দা (Al Quada) জঙ্গি গ্রেফতারে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ধৃত আমিরউদ্দিন খানের বাড়ি হাওড়ার (Howrah) সাঁকরাইলের মাশিলা গ্রামে।
কী জানাচ্ছে পরিবার ?
পরিবারের দাবি, স্থানীয় স্কুলে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) যায় আমিরুদ্দিন। রাজ্যে ফিরেও ২০০৭-এ কাশ্মীরে চলে যায় ওই যুবক। পরিবারের দাবি, ওখানে মাদ্রাসায় (Madarassha) পড়ানোর পাশাপাশি, হাওড়া থেকে পোশাক নিয়ে গিয়ে বিক্রি করত আমিরুদ্দিন। মাসপাঁচেক আগে ইদের সময় শেষবার বাড়ি এসেছিল ওই যুবক। গতকাল রামবান থেকে চিনা গ্রেনেড ও অস্ত্রশস্ত্র-সহ হাওড়ার ৩০ বছর বয়সী যুবককে গ্রেফতার করে কাশ্মীর পুলিশ।
৫ ভাই, ২ বোন। ছোট থেকেই অভাবের সংসার। আমিরউদ্দিনের বাবা ১০০ দিনের কাজ করতেন। সেই আয়েই চলত সংসার। পরিবারের দাবি, কাশ্মীরে বিয়ে করে সংসার পেতেছিল আমিরুদ্দিন। কিন্তু বাড়ির সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল। যে কোনও অনুষ্ঠান বা উত্সবে বাড়ি আসত। ভোট দিতেও এসেছিল।
একাধিক মামলা রুজু
জঙ্গি সন্দেহে হাওড়ার ছেলেকে গ্রেফতারের পর বিস্ফোরক আইন, অস্ত্র আইন ও ইউএপিএ ধারায় মামলা শুরু করেছে পুলিশ। জঙ্গি সন্দেহে ছেলে ধরা ধরায় আমিরুদ্দিন খানের পরিবার ও মাশিলা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা হতবাক। আপাতত তদন্ত প্রক্রিয়া কোন দিকে এগোয়, সেদিকেই তাকিয়ে পরিবারের লোকজন।
একাধিক গ্রেফতার রাজ্যেও
কয়েকদিন আগেই ফের গ্রেফতার করা হয়েছিল আল কায়দা জঙ্গি (Al Qaeda Terrorist)। পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) মথুরাপুর থেকে মনিরুদ্দিন খান নামে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা এসটিএফ (Kolkata STF)। তার আগে ফয়জল নামে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর কাছে থেকেই মেলে একটি পেন ড্রাইভ। সেই পেন ড্রাইভের সূত্রেই আরও কয়েকজনের হদিশ মেলে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মনিরুদ্দিনকে নিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। এরপর কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার হল বাংলারই এক ছেলে। অভিযোগ সেই এক। আল কায়দা সন্দেহভাজন জঙ্গি।
আরও পড়ুন- বাংলার মাটি কি নিরাপদ মনে করছে জঙ্গিরা? রাজ্যে ফের আল কায়দা জঙ্গি গ্রেফতারে প্রশ্ন