কলকাতা: সাহস থাকলে নন্দীগ্রাম ছেড়ে অন্য বিধানসভা আসন থেকে লড়ুন। যে কোনও আসনে তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি তৈরি। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মদন মিত্র। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মদনকে চিহ্নিত মাতাল বলে নিশানা শুভেন্দুর। পাল্টা মদন বললেন, মদ খেতে শিখেছিলাম শিশির অধিকারীর কাছ থেকে।


বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে গিয়ে গব্বর সিংয়ের সংলাপ এবার মদন মিত্রর গলায়। জানুয়ারিতে চারটি কর্পোরেশনে ভোট। তারপর আরও শতাধিক পুরসভায় ভোট হওয়ার কথা। এই প্রেক্ষাপটে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র সম্বর্ধনা সভা থেকে গব্বর সিংয়ের সংলাপে ভর করেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। বললেন, অভি খড়গপুর মে একহি স্লোগান হ্যায়। ইয়ে হাত মুঝে দে-দে ঠাকুর। হম লোগ খড়গপুর লে লেঙ্গে। চ্যালেঞ্জ দেতে হ্যায়।


খড়গপুরের প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। বর্তমানে তিনি যে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ, তার নির্বাচনী এলাকার আওতাভুক্ত খড়গপুর।এবার বিধানসভা ভোটে ঘাসফুল ঝড়ের মধ্যেও, খড়গপুর আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলের নিরিখে খড়গপুর পুরসভার সব কটি ওয়ার্ডেই এগিয়ে গেরুয়া শিবির। আর সেই খড়গপুর পুরসভা পুনদর্খলের বার্তা দিতে গিয়েই, দিলীপ ঘোষকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন মদন মিত্র। বললেন, দিলীপ ঘোষের প্যান্ট নেমে যাচ্ছে। বলছে বারমুডা পরতে। বলছে আলো মানে ফিলিপ। পাগলা মানে দিলীপ।


দিলীপ ঘোষের পাল্টা জবাব, উনি বাংলার জন্য ভাল কমেডিয়ান। সকালে একরকম, দুপুরে একরকম, বিকেলে একরকম ও রাতে আরেক রকম বলেন। উনার সম্পর্কে কিছু বলার নেই। বাংলার মানুষ ওনাকে চেনেন।


এখানেই শেষ নয়! খড়গপুর থেকে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ককেও চ্যালেঞ্জ করেছেন মদন মিত্র। বলেছেন, <শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বলতে চাই না। শের ভুখা মর যায়ে গা, পর চুহা নহি খায়ে গা। একবার লড়ে দেখ। যদি মায়ের লাল হোক, ছাড় নন্দীগ্রাম। আমি কালকে কামারহাটি ছেড়ে দিচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪, যে কোনও আসনে তোকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে যাচ্ছি। আমার নাম মদন মিত্র।


দিলীপ ঘোষ এর জবাবে বলেছেন, শুভেন্দু মমতাকে হারিয়েছেন। সেই দুঃখে উল্টোপাল্টা বলছেন মদন।


বিরোধী দলনেতাকে নিশানা করে মদন বলেন, ‘শুভেন্দু'র মতো চোর-ছ্যাচ্চর-ফেরেব্বাজ আর কেউ নেই! ওঁকে আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি। মায়কা লাল হলে আমার বিরুদ্ধে লড়ে দেখা!’


মদনের আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেছেন, 'চিহ্নিত মাতালের কথার উত্তর দেওয়া মুশকিল'। এর পাল্টা মদন বলেছেন, ‘ওর বাবা শিশির অধিকারীর থেকেই মদ খাওয়া শিখেছিলাম’।