কলকাতা: বার বার হুঁশিয়ারি ডিসেম্বর 'ডেডলাইন' নিয়ে (December Deadline)। তার পর আচমকা সুরবদল। তা নিয়ে তৃণমূলের (TMC) কটাক্ষের মুখে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আধিকারী (Suvendu Adhikari)। এ বার শুভেন্দুকে নিয়েই পাল্টা 'ডেডলাইন'-এর ঘোষণা করে দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। জানুয়ারিতেই শুভেন্দু চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করলেন তিনি। 


শুভেন্দুকে নিয়ে পাল্টা 'ডেডলাইন' ঘোষণা মদন মিত্রের


বুধবার কাঁথির সভায় দাঁড়িয়ে ডিসেম্বর 'ডেডলাইন' নিয়ে সুরবদল করেন শুভেন্দু। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "বাংলায় ভোটে জিতেই ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। বিধায়ক ভাঙিয়ে নয়, ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।" শুভেন্দু আরও বলেন, "বিজেপি ক্ষমতায় এলে উত্তরপ্রদেশের মতো বাংলাতেও বুলডোজার চলবে।"


শুভেন্দুর এই সুরবদল নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে মদন বলেন, "শুভেন্দু বুঝতে পারেনি, কখন ডেটলাইন বলতে গিয়ে নিজের ডেডলাইন ডিক্লেয়ার করে দিয়েছে। ওর অফলাইন হয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। বোধহয় শুভেন্দু জানুয়ারিতেই চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে।"


আরও পড়ুন: Madan Mitra: ‘ডেডলাইন শুনে পুতিন-জেলেনস্কিও থমকে গিয়েছিলেন,’ শুভেন্দুকে কটাক্ষ মদনের


সুরবদল নিয়েও শুভেন্দুকে এ দিন কটাক্ষ করেন মদন। বলেন, "শুভেন্দু যেই ডেডলাইন দিল, সঙ্গে সঙ্গে কেরলে আমেরিকার নৌবহর, কাতার আমেরিকার নৌবহর, বিভিন্ন দেশের নৌবহর, পুতিন-জেলেন্সিকও থমকে গিয়েছিলেন। শুভেন্দুর ডেডলাইন বলে কথা যে!"


ডিসেম্বর 'ডেডলাইন' নিয়ে সুরবদলের ব্যাখ্যা শুভেন্দুর


যদিও সুরবদল নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, "আমি বলেছিলাম, যে তিনটি ইম্পর্ট্য়ান্ট ডে'র কথা, ডিসেম্বর মাসের কথা। আমি কখনওই বলিনি, সরকার আমরা বদলে দেব। আপনারা কী চান? এমএলএ ভেঙে সরকার বদলে যাক? না ভোটে জিতে সরকার আসুক? আমরা ভোটে জিতে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনব। ভোটে জিতেই বিজেপি পশ্চিমবাংলায় আসবে, রাষ্ট্রবাদী সরকার হবে, ডবল ইঞ্জিন সরকার হবে। উত্তরপ্রদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও বুলডোজার চলবে।"


গত কয়েক মাসে একাধিক বার বঙ্গ-বিজেপি নেতাদের মুখে ডিসেম্বর 'ডেডলাইন' শোনা গিয়েছে। দিলীপ ঘোষ থেকে সুকান্ত মজুমদার এবং সর্বোপরি শুভেন্দু, ডিসেম্বরে রাজ্যে পালাবদলের জল্পনা উস্কে দিয়েছেন তাঁরা। এমনকি মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশের উদাহরণও টানতে শোনা গিয়েছে তাঁদের। এমনকি নির্দিষ্ট দিনও বেঁধে দিয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই দিন এলেও, বড় ধরনের কিছু ঘটেনি। তাতে বিজেপি-কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেতৃত্ব।