ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: 'মেডিক্যালের ডাক্তার, নার্স সকলে চেষ্টা করেছেন। তাঁদের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। খুবই দুর্ভাগ্যজনক, ওঁর আত্মার শান্তিকামনা করি। ওঁর পরিবারের কখনও কোনও প্রয়োজনে নিশ্চয়ই থাকব', SSKM-এ নিয়ে যাওয়া বাইক-দুর্ঘটনায় জখম যুবকের মৃত্যুর পর বার্তা কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের (Madan Mitra)। হালে ওই যুবককে SSKM-র ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করাতে গিয়ে দেরি হওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন মদন মিত্র। জবাবে পাল্টা এফআইআর করেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। 


কী ঘটল?
আজ দুপুর সওয়া ১২টা নাগাদ মারা যান ওই যুবক। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল অঞ্জন অধিকারী জানান, মৃতের নাম শুভদীপ পাল। তিনি বলেন, 'পরশু, রবিবার, ২টো নাগাদ ওই যুবক ভর্তি হয়েছিলেন। মাননীয় বিধায়ক মদন মিত্র ওঁর সঙ্গে ছিলেন। রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। ভয়ঙ্কর আঘাত লেগেছিল,...ডান দিকে আঘাত লাগে।' মাথার ডান দিকে, চোখে ভয়ঙ্কর আঘাত পেয়েছিলেন শুভদীপ। বক্ষপিঞ্জর ভেঙে চুরমার গিয়েছিল। ডান দিকের কিডনিও খারাপ হয়ে যায়, জানালেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল। স্রেফ বাঁদিকের ফুসফুসের জোরে গত দুদিন লড়াই করেছেন ওই যুবক। তাঁর কথায়, 'আসার আগেই দু'বার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল রোগীর।' তবে এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে নিয়ে ছোটাছুটি ইত্যাদির পর রোগীর অবস্থা যে খুবই খারাপ ছিল, সে কথা জানান মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল। 


কী বললেন মদন মিত্র?  
'মেডিক্যালের ডাক্তার, নার্স সকলে চেষ্টা করেছেন। তাঁদের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। খুবই দুর্ভাগ্যজনক, ওঁর আত্মার শান্তিকামনা করি। ওঁর পরিবারের কখনও কোনও প্রয়োজনে নিশ্চয়ই থাকব', এদিন যুবকের মৃত্যুর পর বলেন মদন মিত্র। এই যুবককেই এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করতে দেরি হওয়ার হচ্ছিল, এই অভিযোগ এনে মুখ খুলেছিলেন মদন মিত্র। বলেছিলেন, 'যত ক্ষণ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ইন্টারভেন না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত বলব say no to PG।' পাশাপাশি দলকেও নিশানা করেছিলেন গোড়ার দিকে। পাল্টা, তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় এফআইআর দায়ের করে SSKM কর্তৃপক্ষ। তবে এই ঘটনার একদিনের মধ্যে নিজের অবস্থান থেকে কার্যত একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে যান কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। গত রবিবার তিনি নতুন করে বলেন, এসএসকেএমকাণ্ড নিয়ে কী বলেছি মনে নেই। আমি হ্যালুসিনেশনে ভুগছি। আমার মুকুলের মতো অ্যালঝাইমার্স হয়েছে। আমার কাছে পিজি মানে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট। অবসরের প্রস্তুতি নিচ্ছি, সচিন অবসর নিতে পারলে আমি কেন নয়? অবসর জীবনে ছোটদের পড়াব। সন্ন্যাস নেব।' 


আরও পড়ুন:হার্ট অ্যাটাকের আগে শুধু শরীরেই নয়, চুলেও আসে এই পরিবর্তন