নয়া দিল্লি : আপনার চুল থেকে জানা যেতে পারে যে ভবিষ্যতে আপনার হার্ট অ্যাটাক (Heart Attacks) হতে পারে কি না। সম্প্রতি এমনই একটি গবেষণার (Research) তথ্য সামনে এসেছে। যা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গেছে। রিসার্চে দেখা গেছে যে, মানুষের চুলে স্ট্রেস হরমোন (Stress Hormone) রয়েছে। যার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে বোঝা যেতে পারে আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রয়েছে কি না।


এবছর আয়ারল্যান্ডের (Ireland) ডাবলিনে 'ইউরোপিয়ান কংগ্রেস অন ওবেসিটি'-তে একটি গবেষণার কথা তুলে ধরা হয়। তা থেকে জানা গেছে যে, গ্লুকোকোর্টিকয়েড – যে কোনও মানুষের চুলে স্টেরয়েড হরমোন থাকে। যা এক সময়ের পর বাড়তে থাকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা গেছে যে, এই হরমোনের মাত্রা ভবিষ্যতে বাড়লে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।


এই ধরনের চুল থাকা মানুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়-


এই পুরো গবেষণার একটি উপসংহারে পৌঁছানোর জন্য পুরুষ ও মহিলাদের একটি দল তৈরি করা হয়। যেখানে ১৮ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষদের রাখা হয়েছিল। এদের চুলের ৬,৩৪১টি নমুনা নেওয়া হয়। যেখান থেকে কর্টিসল এবং কর্টিসোনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা হয়। পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় সামিল প্রত্যেকের চুলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পুরো প্রক্রিয়া থেকে এটা বোঝা যায় যে, যেসব মানুষের চুলে কর্টিসোন হরমোনের মাত্রা বেশি, এবং বহু দিন ধরে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অথচ তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, তাঁধের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়।


৫৭ বছর বয়সের পর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়ে যায়-


যেসব মানুষের বয়স ৫৭ বছর বা তারও বেশি, এবং তাঁদের চুলে অধিক মাত্রায় কর্টিসোন স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি তিন গুণ বেড়ে যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় চিকিৎসকরা একটা অংশ পর্যন্ত বুঝতে পারেন যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকতে পারে কি না। এই পরিস্থিতিতে হয়তো ভবিষ্যতে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে আলাদাভাবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন ; প্রচণ্ড গরমেও হবে না সমস্যা, ঘুমানোর ১ ঘণ্টা আগে যদি নেন এই ব্যবস্থা