ঋত্বিক মণ্ডল, কলকাতা : নেতা-বিধায়ক-নায়ক থেকে গায়ক। এই হচ্ছেন মদন মিত্র। ওহ্ লাভলি হিট দেওয়ার পরে এবার তাঁর গলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত। আকাশ ভরা সূর্য তারা ,  ফাগুন লেগেছে বনে বনে ও আরও দুটি গান। বুধবারই মধ্যমগ্রামের প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে মদন মিত্রকে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতার এক স্টুডিওয় রেকর্ড হল মদন মিত্রর গান। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রর কথোপকথনে অন্তত সেরকমই ইঙ্গিত মেলে। এদিন বৈঠকের শেষে হঠাৎই মদন মিত্রকে নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূলনেত্রী। l তিনি বলেন, ' 'আরে! মদন মিত্র বলল না তো! আমি তো এত ক্ষণ ওকে দেখতেই পাইনি... ও আর কী বলবে! এখন চেয়ারম্যান হয়েছে স্টেট ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট না কিসের যেন? ও বলবে না। রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবে'  । কথোপকথনটা ছিল কিছুটা এই রকম। 


মমতা: তুমি অন্য কিছু গাইছ না তো, রবীন্দ্রসংগীত ছাড়া? 
মদন : আমি এখন স্রেফ রবীন্দ্রসংগীত নিয়েই আছি, 
মমতা : ওকে, ঠিক আছে




দলনেত্রীর নির্দেশ শিরোধার্য। ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। ৪-টে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে ফেললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। এরপরই মদন মিত্র বলেন, উনি পরশু ফোন করেছিলেন, নস্টালজিয়া জাগিয়ে দিয়েছেন। বিধানসভা ভোটের আগে গেয়েছিলেন ও লাভলি! মদন মিত্রর রঙিন হিট! এবার দলনেত্রীর নির্দেশে টেস্ট চেঞ্জ। দলের 'কালারফুল ছেলে' বলেন, ও লাভলি তো অনেক হল, বয়সও তো হচ্ছে...


মদন মিত্রর গানের ডালি এখানেই শেষ নয়। দুর্গাপুজোর আগে কামারহাটির বিধায়ক ধরা দেন একেবারে অন্য অবতারে।  মেরুন ধুতি, হলুদ পাঞ্জাবি এবং তানপুরা হাতে একেবারে ঝাঁচকচকে সাজে ধরা দিয়েছিলেন মদন মিত্র। মদন মিত্রর এই রঙিন মেজাজ নজর এড়ায়নি দলনেত্রীরও।  তিনি তখন এক অনুষ্ঠানে বলেন, 'মদন একটু কালারফুল ছেলে। মাঝে মাঝে বেশি কালারফুল হয়ে যায়... বেশি কালারফুল হয়ে গেলে প্রবলেম... মদন তুমি তোমার পাড়াটা দেখে নিও... পরশু দেখলাম তুমি ধুতি-পাঞ্জাবি পরে দাঁড়িয়ে ছিলে, সেরকমই থেকো... সাজুগুজু করবে তবে বেশি সাজুগুজু করবে না'


এবার সেই মদন মিত্রর গলাতেই রবীন্দ্রসঙ্গীত। সব দেখে শুনে আপাতত কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের ফ্যান-ফলোয়াররা একটাই কথা বলছেন, ওহ্ লাভলি!