সমীরণ পাল, এবিপি আনন্দ, উত্তর ২৪ পরগনা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Corruption) ধৃত অয়ন শীলের (Ayan seal) যোগসূত্রে উঠে এসেছে শ্বেতা চক্রবর্তীর (Sweta Chakraborty) নাম। কামারহাটি পুরসভায় (Kamarhati Municiality) গিয়ে তাঁকে আশ্বস্ত করলেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) মদন মিত্র (Madan Mitra)। কারও চাকরি যাবে না বলে আশ্বাস দেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কামারহাটি পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম (CPM)।

  


অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়, সোমা চক্রবর্তীর পর, এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে এসেছে আরেক রহস্যময়ী, শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম। স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি, উঠেছে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতে শুক্রবার কামারহাটি পুরসভায় গিয়ে শ্বেতার সঙ্গে কথা বললেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। দিলেন আশ্বাস।


কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলছেন, আমরা জেল খাটব। কোনও কর্মচারীর চাকরি যাবে না। যাঁরা ধর্না দিচ্ছেন তাঁদের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ সমবেদনা রয়েছে। যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পান। এটা আমাদের ডিমান্ড। তার মানে এই নয় তৃণমূলের ছেলেমেয়েরা যদি যোগ্য হয় তাদের চাকরি দেওয়া যাবে না। কেন? তৃণমূল করাটা কি পাপ নাকি?


ইডি সূত্রের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতার অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার হয় শ্বেতার গাড়ির নথি। এই শ্বেতা চক্রবর্তী কামারহাটি পুরসভার PWD ডিপার্টমেন্টে সাব অ্য়াসিস্টান্ট ইঞ্জিনিয়রের চাকরি করেন। মদন মিত্রও এই কামারহাটিরই বিধায়ক। এদিন একটি পরিষেবার উদ্বোধন করতে এসে পুরসভায় ঢোকেন বিধায়ক। কথা বলেন শ্বেতার সঙ্গে।


অয়ন-ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীর কথায়, আমার নাম কি কোথায় থাকি জিজ্ঞাসা করলেন- ভরসা কিসের! উনি বিধায়ক আসতেই পারেন। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে মদন মিত্রের একটি মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়।  


শুক্রবার কামরহাটি পুরসভায় গিয়ে আবার কার্যত একই সুর শোনা যায় তৃণমূল বিধায়কের গলায়। পাশাপাশি তিনি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নিশানা করেন বামেদের। ১২৫ বছরের পুরসভা, আগে তো চিরকুটে চাকরি হয়েছে, দাবি মদনের। এদিনই পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবিতে কামারহাটি পুরসভার সামনে বিক্ষোভ-মিছিল করে সিপিএম। 


আরও পড়ুন: Purba Burdwan: তৃণমূলের পার্টি অফিসে জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ উঠল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে