কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও আশিস আইচ: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) একের পর এক গ্রেফতারিতে, বারবার নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের (TMC)। এই পরিস্থিতিতে অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য়, দলের শীর্ষনেতৃত্বের উদ্দেশে কার্যত চ্য়ালেঞ্জ ছুড়লেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। তাঁর মন্তব্য়কে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে বিরোধীরাও।


দলের শীর্ষনেতৃত্বের উদ্দেশে কার্যত চ্য়ালেঞ্জ ছুড়লেন মদন মিত্র


নিয়োগ দুর্নীতিতে যে সময় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি, সেই সময়ই দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মদন। তিনি বলেন, "কুন্তল বলছে সব টাকা দলপতিকে দিয়েছে, তার পর কালীঘাটের কাকু। এঁদের সূচ দিয়ে কে ঢুকিয়ে দিল দলে? তৃণমূল অবস্থান স্পষ্ট করুক।"


পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের পরতে পরতে সামনে আসছে নতুন নাম। পর্দা উঠছে একের পর এক চরিত্রের উপর থেকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন আগেই। পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরি বাতিল হয়েছে। তার পর থেকে একে একে মানিক ভট্টাচার্য, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, গোপাল দলপতিদের নাম সামনে এসেছে। এ বার নয়া সংযোজন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। 

এর মধ্য়ে তৃণমূল বিধায়ক মানিকের ঘনিষ্ঠ তাপসের অভিযোগ, টাকা নিয়েছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল। কুন্তল আবার দাবি করেছেন, টাকা রয়েছে গোপাল এবং তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর কাছে। তাই বড় থেকে ছোট, নিয়োগ দুর্নীতিতে বারবার যখন তৃণমূলের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে, সেই সময়ই 
 বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন তৃণমূলেরই বিধায়ক মদন।


আরও পড়ুন: Hoimanti Ganguly Update: গোপাল দলপতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নমিনি হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়, দাবি সিবিআই সূত্রে

দলের উদ্দেশেই অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য় কার্যত চ্য়ালেঞ্জ ছুড়লেন মদন। তাঁর বক্তব্য, "কুন্তলকে দলের দায়িত্বের চিঠি কে দিয়েছে? কার নির্দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে? একজন নেতা তো বলুক! তৃণমূল করেন, না করেন না! তাহলে আমরা পার্টির ছেলেদের বলতে পারি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে এমন চলবে! এটা মানা যাচ্ছে না। যে সব নাম উঠে আসছে তৃণমূল করে বলে, এত পচা লোকজন তৃণমূল করে? ছিঃ...কারা এদের নেতা? কে ঢোকাচ্ছে? এটা খোঁজা হোক। কারা তৃণমূল করছে? একটা মিটিং ডাকা হোক। ছিঃ... "


নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের একাধিক নেতার নাম উঠে এসেছে

যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক কুন্তল। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরও তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়নি। হুগলির বলাগড়ের এই নেতাকে নিয়ে, দলের মুখপাত্রদের উদ্দেশেও চ্য়ালেঞ্জ ছুড়েছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর কথায়, "হুগলির নেতা বলতে কল্যাণ, সুদীপ্ত, রত্না, এদের চিনি। এর বাইরে এরা তৃণমূল করে কিনা, মুখপাত্ররা আছে, বলুক। তৃণমূল করলে বলুক। না করলে বলুক, তৃণমূল করে না।" বলা বাহুল্য মদনের এমন মন্তব্যে বিরোধীরাও তৃণমূলতে নতুন করে আক্রমণ করতে নেমে পড়েছে। কিন্তু একেবারে গোড়া থেকে মমতার সঙ্গে থাকা, দলের অভিজ্ঞ নেতা মদনের এমন মন্তব্যে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের কাছ থেকে।