সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের হুঁশিয়ারি মদন মিত্রের। 'মানুষের কাজে বাধা ও বেআইনি নির্মাণে যাঁরা মদত দেবেন, তাঁরা সাবধান। সবাই পর্যবেক্ষণে আছেন, পদ আজ আছে, কাল কাঁচি দিয়ে কাটতে ২ মিনিট লাগবে না', হুঁশিয়ারি কামারহাটির বিধায়কের। এলাকায় গুলি বরদাস্ত করা হবে না, কামারহাটির সভায় হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের।
তাঁর আরও হুঁশিয়ারি, 'কার সঙ্গে কত বড় নেতা আছে, কে কতটা প্রভাবশালী, তা জানতে চাই না। প্রকৃত, ভাল তৃণমূল কর্মীদের চেপে দেওয়ার চেষ্টা হলে, এমন ব্যবস্থা করব, পায়ে পড়া ছাড়া উপায় থাকবে না। এটা ওয়ার্নিং। প্রত্যেকে সার্ভিল্যান্সে রয়েছে।' উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় দলীয় নেতা, কর্মীদের এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন মদন মিত্র। দলে যে গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে, তা কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের কথাতেই স্পষ্ট। কয়েকদিন আগেই বরানগরে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)
এর আগেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন মদন মিত্র। কদিন আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার ঘটনায় সরব হয়েছিলেন কামারহাটির (Kamarhati) বিধায়ক। মদন মিত্র বলেছেন, 'বাংলায় নির্বাচনে (Panchayat Election) রক্তের হোলি খেলা বন্ধ হোক। রক্তের হোলির মধ্যে দিয়ে এটাই যেন শেষ নির্বাচন হয়, মারব, খুন করব, দখল করব, বাংলার এই সংস্কৃতি খুব দুঃখের। পশ্চিমবঙ্গের এই খুনের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে'।
দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করতে শোনা গিয়েছে, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়কেও। দল টিকিট দিয়েছেন, মানুষ জিতিয়েছে। জয়ী প্রার্থীদের পা যেন মাটিতে থাকে, হুঁশিয়ারি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, 'পার্টি আমাকে টিকিট দিয়েছে, মানুষ আমাকে জিতিয়েছে। অনেক জয়ী প্রার্থী উপস্থিত আছেন। এখানে যাঁরা আছেন, তাঁদের পা-টা যেন মাটিতে থাকে। যারা আমাদের আশীর্বাদ করল, সে কম লেখাপড়া করতে পারে, লেখাপড়া নাও জানতে পারে। সে অত্যন্ত গরিব হতে পারে। শিক্ষায় আমার থেকে কম হতে পারে। কিন্তু ওই অশিক্ষিত, ওই দরিদ্র মানুষটার আশীর্বাদেই আপনাদের আশীর্বাদ করেছে, কেউ প্রধান হবেন, কেউ উপপ্রধান হবেন। এইটা কখনও যেন মাথা থেকে বেরিয়ে না যায়।'
আরও পড়ুন: বিরোধী ঐক্য গড়েই মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ, আজ অশান্ত মণিপুরে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল