সনৎ ঝা, দার্জিলিং: মাধ্য়মিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু। এদিকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ পালনের কথা জানান হয়েছে। বনধের ডাক দিয়েছে বিনয় তামাঙ্গ (Binay Tamang)। যৌথভাবে বনধের ডাক হামরো পার্টি এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার। আজ থেকে ভানু ভবনে অনশন কর্মসূচি। বাংলাভাগের বিরুদ্ধে নেওয়া বিধানসভার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কর্মসূচি। বাংলাভাগের বিরুদ্ধে নেওয়া বিধানসভার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বনধের ডাক। বনধ এবং অনশন কর্মসূচির সমর্থনে কার্শিয়ঙে বিজেপির পোস্টার। তবে পরীক্ষার্থীদের বনধের আওতার বাইরে রাখার কথা ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা। বনধ চলাকালীন কোথাও কোনও পিকেটিং করা হবে না বলেও দাবি আন্দোলনকারীদের।
এদিকে, বাংলা ভাগের দাবি নিয়ে বিধানসভাতেই বিজেপির দুই সুর। সোমবার বাংলা ভাগের বিরোধিতায় বিধানসভায় প্রস্তাব আনে রাজ্য় সরকার। তা নিয়ে আলোচনায়, বিরোধী দলনেতা বলেন, কোনও স্বীকৃত রাজনৈতিক দল, বাংলা ভাগের দাবি তোলেনি। কিন্তু, তাঁর দলেরই বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা আবার এনিয়ে গণভোটের দাবি তোলেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্য়মিক পরীক্ষা (Madhyamik 2023)। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board Of Secondary Education) তরফে জানানো হয়েছে, "এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪। আরও ৩৫০ পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড নিয়েছে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে প্রকাশ হবে ফল। ৪০ হাজার ৫০০ পরীক্ষক। এর মধ্যে প্রধান পরীক্ষক ১১৫৩ জন। পরীক্ষা চালানোর জন্য ৩৫ হাজার ইনভিজিলেটর রয়ছেন। ১২২৬টি সেন্টারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।''
আরও পড়ুন, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু মাধ্যমিক, মে মাসের শেষে ফল ঘোষণা, জানাল পর্ষদ
কী বললেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি?
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, 'ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের আশ্বস্ত করতে চাই আমাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে একটাই কথা,এটি জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা ঠিকই। কিন্তু একমাত্র বড় পরীক্ষা নয়। আরও পরীক্ষা দেওয়ার রয়েছে। এখানে মন ঠান্ডা করে পরীক্ষা দিতে হবে। ফলাফল নিশ্চয়ই ভালো হবে, আশা করা যায়।'এর পরেই তাঁর সংযোজন, 'আমরা ভালো করে প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্র খুঁটিয়ে দেখেছি। ব্যবস্থাপনা ঠিক রয়েছে কিনা, দেখে নেওয়া হয়েছে। সার্বিক রিপোর্ট যা রিপোর্ট পাচ্ছি, তাতে আমরা বেশ উচ্ছ্বসিত।'