কলকাতা: ব্যস্ত লাইফস্টাইলে ক্লান্তি (Fatigue) খুব সাধারণ একটা বিষয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের পরও ক্লান্তি কাটতেই যেন চায় না। আর যাঁদের সারাদিনে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না, তাঁদের তো ক্লান্তির হাত থেকে রেহাই নেই। সারাদিনের কাজের ব্যস্ততা, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটর, মোবাইল, ল্যাপটপের স্ক্রিনের সামনে থাকার ফলে ব্যাপক প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যে। এর ফলে অনেক সময়ই ঘুমই ভাঙছে ক্লান্তির সঙ্গে। আর সারাদিন অলসভাব লাগছে। বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু খাবার তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন, যা নিমেষে ক্লান্তি দূর করতে পারে।


কোন কোন খাবারে ক্লান্তি দূর হয়?


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ক্যালশিয়াম। রোজকার খাবারের তালিকায় রাখলে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। দীর্ঘক্ষণ শরীরকে তরতাজা রাখতে সাহায্য করে। নানাভাবে ডিম খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম সেদ্ধ করে কিংবা অমলেট করেও খেলে উপকার পাওয়া যায়।


২. কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, পটাশিয়াম। মাত্র একটা কলা খেলেই প্রচুর পরিমাণে কর্মক্ষমতা বাড়ে। তার সঙ্গে বাড়ে এনার্জিও। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরচর্চা করার আগে কলা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।


আরও পড়ুন - অনিদ্রার সমস্যা? কিছুতেই দু-চোখের পাতা এক করতে পারছেন না? জানুন কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা


৩. যেকোনও খাবারের থেকে দারুণ উপকারী একমুঠো বাদাম। তার মধ্যে দ্রুত এনার্জি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে আমন্ড বাদাম। ক্লান্ত লাগলে বা শরীরে জোর না পেলে কয়েকটা আমন্ড বাদাম খেয়ে দেখুন। তফাতটা নিজেই টের পাবেন।


৪. গরমকাল প্রায় পড়েই যেতে চলেছে। এই সময়ে শরীরে জলের চাহিদা থাকে প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু সারাক্ষণ জল খেতে হয়তো অনেকেরই ভালো লাগে না। আর শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে ক্লান্তি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ক্লান্তিও দূর হয় আবার শরীরে জলের চাহিদাও পূরণ হয়।


৫. পালং শাক শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রচুর পুষ্টিগুনে ভরপুর পালং শাক খাবারের তালিকায় রাখলে শরীরে এনার্জি ভরপুর থাকে।


৬. এছাড়াও খেজুর, ওটস, প্রভৃতি রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।