ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: মহাকুম্ভে গিয়ে রামপুরহাটের নিখোঁজ মহিলারও 'মৃত্যু'। এমনটাই দাবি করছে পরিবার। বৃদ্ধার ছেলে জানিয়েছেন, ফোনে মায়ের ছবি দেখে শনাক্ত করেছেন। পরিবার সূত্রে খবর, ২৮ জানুয়ারি পরিবারের সঙ্গে শেষবার কথা হয় তাঁর।
অমৃতকুম্ভের সন্ধানে গিয়ে পুণ্যলাভের আশা অপূর্ণই থেকে গেছে অনেকের। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এরাজ্যে ৩ বাসিন্দার। এখনও খোঁজ নেই বহু মানুষের। কুম্ভমেলায় পুণ্যস্নানে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে রামপুরহাটের এক মহিলা। নাম, গায়ত্রী দে(৫৮)রামপুরহাটের ১১নং ওয়ার্ডের বাউরি পাড়ার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, গত ২৭ জানুয়ারি ফারাক্ক থেকে ৩১ জনের একটি দলের সঙ্গে মহিলাকে ট্রেনে তুলে দেন তাঁর নাতি। ২৮ তারিখ সন্ধ্যায় শেষ কথা হয় পরিবারের সঙ্গে। তার পর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই। শুক্রবার পুণ্যার্থীদের দলটি ফিরে এলেও মহিলা ফেরেননি। নিখোঁজ পুণ্যার্থীর ছেলে প্রতাপ দে বলেন" তাঁরা বলছেন ছিল আমাদের সঙ্গে, তারপর ভিড়ের ঠেলায় তোর মা কোথায় চলে গেল। বা আমাদের সঙ্গে নাই। আমরাও পাচ্ছি না খুঁজে, এটাই বলল।'' রামপুরহাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছে পরিবার। এদিন সকালে নিখোঁজ পুণ্যার্থীর বাড়িতে আসেন রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত। তিনি বলেন, "আমি চেষ্টা করছি প্রশাসনিকভাবে, যাতে প্রয়াগরাজের যে প্রশাসন আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। এসডিও, ডিএমের মাধ্যমে।''
কুম্ভস্নানে গিয়ে নিখোঁজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার বাসিন্দা গীতা মণ্ডল (৬০)। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়াগরাজে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। নিখোঁজ পুণ্যার্থীর ছেলে গৌরাঙ্গ মণ্ডল বলেন, "ওখান থেকে স্নান সেরে ফেরার পথে রাস্তায় জ্যামের কারণে, মায়ের হাত আমার থেকে আলাদা হয়ে যায়। সেখান থেকে মাকে খুঁজে পাচ্ছি না। এখানকার থানায় আমাদের না, ঠিকানা লিখে নিয়েছে, কিন্তু ঠিকমতো সাহায্য পাচ্ছি না। এখানকার পুলিশ অফিসারেরাও ঠিকঠাক সাহায্য করছে না আমাদের সঙ্গে। সেই থেকে পাগলের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছি।'' অমৃতস্নানে গিয়ে নিখোঁজ উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা থানার চাঁদগোলার এক বাসিন্দা ধীরেন মজুমদার (৭৫)। নিখোঁজ পুণ্যার্থীর মেয়ে পল্লবী মজুমদার বলছেন, "৫টা নাগাদ ওখানে স্নান করে। স্নান করে ওঠার পর একটা ভিড় আসে। সেই ভিড়ের সবাই এলোমেলো হয়ে গেছে। সবাই ঠিক জায়গায় পৌঁছে গেছে, আমার বাবা পৌঁছতে পারেনি। এখন কোনও খবরই নেই।''
আরও পড়ুন: WB Medical Council: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ, পদত্যাগ করলেন মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার