সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া : ফের এল মর্মান্তিক খবর। ইতিমধ্যেই কুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যুর খবর এসেছে। আর এবার কুম্ভমেলা যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পুরুলিয়া টামনা থানার গোপলাডি গ্রামের তিন জনের মৃত্যু !

রবিবার ৯ তারিখে এই গ্রাম থেকে ১৩জন গ্রামবাসী টুরিষ্ট বাসে করে কুম্ভমেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।আজ ভোরবেলায় প্রয়াগরাজে কাছে ভগবতী ফিলিং ষ্টেশনের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ওই খানে বাসটি পেট্রল নিতে দাড়ায়। সেই সময় কয়েকজন যাত্রী বাথরুম যায় রাস্তা পার হয়ে সেই সময় অপরদিক থেকে আসা একটি গাড়ি তাঁদেরকে ধাক্কা মারে তারপরি এই গোপলাডি গ্রামের একি পরিবারের দুজন ও আরেকটি পরিবারের একজন মারা যায়। গ্রামে নেমেছে শোকের ছায়া। 

প্রসঙ্গত, কেউ স্নান সেরেছিলেন, কেউ স্নানের জন্য গিয়েছিলেন ঘাটে। হঠাৎ আসা ভিড়ের ধাক্কায় কুম্ভমেলায় হারিয়ে গিয়েছেন অনেকে। প্রিয়জনের ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন পরিবারের সদস্যরা। দ্বারস্থ হয়েছেন প্রশাসনের। মহাকুম্ভে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এ রাজ্যের একাধিক বাসিন্দার। এখনও খোঁজ নেই বহু মানুষের। মানুষের হাটের মাঝে যাঁরা হারিয়ে গিয়েছেন। কুম্ভস্নানে গিয়ে নিখোঁজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার বাসিন্দা গীতা মণ্ডল (৬০)। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়াগরাজে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি!

গোসাবা নিখোঁজ পুণ্যার্থীর ছেলে  গৌরাঙ্গ মণ্ডল বলেছিলেন , ওখান থেকে স্নান সেরে ফেরার পথে রাস্তায় জ্যামের কারণে, মায়ের হাত আমার থেকে আলাদা হয়ে যায়। সেখান থেকে মাকে খুঁজে পাচ্ছি না। এখানকার থানায় আমাদের না, ঠিকানা লিখে নিয়েছে, কিন্তু ঠিকমতো সাহায্য পাচ্ছি না। এখানকার পুলিশ অফিসারেরাও ঠিকঠাক সাহায্য করছে না আমাদের সঙ্গে। '

আরও পড়ুন, সুখবর, ১৩ ও ১৪ রাজ্য সরকারি ছুটি ! লম্বা উইকএন্ড রাজ্য সরকারি কর্মীদের..

অমৃতস্নানে গিয়ে নিখোঁজ উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা থানার চাঁদগোলার এক বাসিন্দাও। নাম ধীরেন মজুমদার (৭৫) । নিখোঁজ পুণ্যার্থীর মেয়ে  পল্লবী মজুমদার বলেছিলেন, ৫টা নাগাদ ওখানে স্নান করে। স্নান করে ওঠার পর একটা ভিড় আসে। সেই ভিড়ের সবাই এলোমেলো হয়ে গেছে। সবাই ঠিক জায়গায় পৌঁছে গেছে, আমার বাবা পৌঁছতে পারেনি। এখন কোনও খবরই নেই।' নিখোঁজ পুণ্যার্থীর ছেলে   বিশ্বজিৎ মজুমদার বলেন, 'মিসিং ডায়েরি এখানে গিয়েছিলাম ডালখোলা থানায় করার জন্য। সেখানে বলে- যেখানে হারিয়েছে, সেখানেই মিসিং ডায়েরি করতে হবে।