সন্দীপ সরকার, কলকাতা: কুম্ভ থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা, বাংলার পুণ্যার্থীর মৃত্যু। মৃত উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার বাসিন্দা শান্তি মণ্ডল। দুর্ঘটনায় আহত ২৪, আশঙ্কাজনক ১ জন ভর্তি আর জি করে। বিহারের গোপালগঞ্জের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রয়াগরাজ থেকে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে পিকআপ ভ্যানটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ১ জনের, আহত ২৪। আহতরা উত্তরবঙ্গের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাংলা থেকে যাওয়া পুণ্যার্থী বোঝাই পিক আপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারল ট্রলারে। এক পুণ্যার্থীর মৃত্যু, আহত ২৪ জন। মৃতের নাম শান্তি মন্ডল। বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায়। আহতরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। গুরুতর আহত একজনকে আনা হল কলকাতায়।আরজি করের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হল আহত সীমা ঢালিকে। কোমর এবং পায়ের হাড় ভেঙেছে তাঁর। আরজিকরে অস্ত্রোপচার হয়েছে।
কিছুতেই কুম্ভ সফর ঘিরে মৃত্যুমিছিলে যবনিকা পড়ছে না। হয় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর আসছে, নতুবা দুর্ঘটনায়। বাংলা থেকে এই অবধি কম পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়নি। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। যাদের মৃত্যু হয়েছে কুম্ভে গিয়ে, পরিবার দেহ আনতে গিয়ে চরম সমস্যার মুখোমুখী হয়েছেন। ডেথ সার্টিফিকেট না মেলার অভিযোগ উঠেছে। এখানেই শেষ নয়, আদৌ মৃত্যু হয়েছে কিনা প্রিয়জনের, অনেকক্ষেত্রে নেই সেই খবরও। যেহেতু দেহ মেলেনি, অনেকেই হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছেন হন্যে হয়ে।
প্রসঙ্গৃত, সম্প্রতি মহাকুম্ভে যাওয়ার পথে বিপর্যয়ের ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে ৩ শিশু ও ১১ জন মহিলা-সহ মৃত্যু হয় একাধিক জনের। ঘটনার দিন রাতে প্রয়াগরাজে যাওয়ার নয়াদিল্লি স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন যাত্রীরা। ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস। স্বতন্ত্র সেনানী ও ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস লেট থাকায় স্টেশনে ভিড় উপচে পড়েছিল।সবথেকে বেশি ভিড় ছিল ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে।
প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেসে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ১৪ এবং ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। যাত্রীদের অভিযোগ, একদিকে বারবার প্ল্যাটফর্ম বদলের ঘোষণা, আরেক দিকে ট্রেনে উপচে পড়া ভিড় সত্ত্বেও গতকাল রাতে প্রায় দেড় হাজার জেনারেল টিকিট বিক্রি হয়েছিল নয়াদিল্লি স্টেশনে। মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের চাপেই এই ঘটনা বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রেলের ভূমিকা। প্রশ্ন উঠছে, কুম্ভ যাওয়ার জন্য ভিড় হচ্ছে জেনেও কেন বেশি ট্রেন চালানো হল না? ট্রেনে উপচে পড়া ভিড় সত্ত্বেও কেন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছিল না? মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুমিছিলের পরও কেন সতর্ক ছিল না প্রশাসন? পদপিষ্টের ঘটনাকে প্রথমে গুজব বলে দাবি করে রেল। পরে দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে রেল কর্তৃপক্ষ। কেন এই ঘটনা ঘটল, তা জানতে দুই সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
আরও পড়ুন, 'ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা..', মুখ্যমন্ত্রীর দিকে পাল্টা একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন শুভেন্দু !
(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)