কলকাতা : আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসানে সূচনা দেবীপক্ষের। গঙ্গার ঘাটে-ঘাটে সকাল থেকেই পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ আম-বাঙালির। বাবুঘাট-বাগবাজার-শোভাবাজার-নিমতলা সহ একাধিকঘাটে মহালয়ার পুণ্য লগ্নে পিতৃতর্পণ ভোর থেকেই। এদিন বাগবাজার ঘাটে তর্পণ সারলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যও। 

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, পরিবারের সঙ্গে এসেছিল তর্পণ করতে, উলুবেড়িয়ার গঙ্গায় তলিয়ে গেল এক কিশোরী !

Continues below advertisement

প্রশ্ন : প্রতিবার আপনি আসেন, এবারে..

শমীক ভট্টাচার্য : দেখুন এটাতো শুধু, পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ নয়, এই তর্পণ আবহমান কাল ধরে। যারা এই পৃথিবীর নশ্বর দেহ ত্যাগ করে চলে গেছেন। কীট-পতঙ্গ-সকলের উদ্দেশ্যেই, সকলকে স্মরণ করতেই, আজকে আমাদের ভারতীয় সংষ্কৃতি আমাদের সভ্যতা আমাদের বহমানতা, এটা তারই একটা প্রতীকি উজ্জাপণ মাত্র। প্রতিবছর এই তর্পণ করতে আসা, শুধুমাত্র পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্য নয়। আমি যে পরিবারের সদস্য, আমার পরিবার মানে আমার পার্টি। আমাদের যত শহিদ হয়েছেন গত ১০ বছরে, সেই সংখ্যাটা, এখন পর্যন্ত ২৮৭। তাঁদের কথাও স্মরণ করলাম আজকে। ২০২১ সালের পর ২৭ দিনে, আমাদের ৫৬ জন কর্মী খুন হয়ে যান। মহিলা খুন হন। তাঁদের সকলের উদ্দেশ্যে স্মৃতিচারণ এবং জল অর্পণটাই আজকের কাজ। 

প্রশ্ন : আগামী নির্বাচন যাতে রক্তক্ষয়ী না হয়..

শমীক ভট্টাচার্য : সেই প্রার্থনা তো সবসময় করি। বাংলার মানুষেরই সবসময় সেই প্রার্থনা করা উচিত। যে ভ্রাতৃহত্যার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর কোথাও চিরকালীন শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি। আর সেটা হওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং এই সংঘর্ষ এই হানাহানি বন্ধ হোক। অন্যান্য রাজ্য যারা, এই ভোট সংষ্কৃতি থেকে রাজনৈতিক সংষ্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। যে বিহারের কথা আমরা আগে পড়তাম, উত্তরপ্রদেশের কথা পড়তাম, আমাদের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কোনও ঘটনা ঘটলেই বারবার বিহার-উত্তরপ্রদেশের রেফারেন্স দিতেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার একটা তুলনামূলক বিশ্লেষণ সাংবাদিকদের সামনে রাখতেন। আজকে সেই বিহার-উত্তরপ্রদেশ ভোট সংষ্কৃতি যা ছিল অতীতে, তার থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে।

 আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসানে সূচনা দেবীপক্ষের। গঙ্গার ঘাটে-ঘাটে সকাল থেকেই পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ আম-বাঙালির। বাবুঘাট-বাগবাজার-শোভাবাজার-নিমতলা সহ একাধিকঘাটে মহালয়ার পুণ্য লগ্নে পিতৃতর্পণ ভোর থেকেই। তবে শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যেপ বিভিন্ন জেলাতেও দেখা যাচ্ছে একই ছবি। তর্পণ নিয়ে সতর্ক পুলিশ। দুর্ঘটনা এড়াতে রাখা হয়েছে বাড়তি ফোর্স। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গঙ্গাবক্ষে টহল রিভার ট্রাফিক পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের।