দীপক ঘোষ এবং অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: জাতির জনকের প্রয়াণ দিবসে মহাত্মাকে স্মরণ রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রীর। এমনকী বিজেপি রাজ্য দফতরেও স্মরণ অনুষ্ঠান হয়। এই নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে গেরুয়া শিবির। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।


মহাত্মা গাঁধীর ৭৪ তম প্রয়াণ দিবস। যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনককে স্মরণ করল গোটা দেশ। রবিবার সকালে দিল্লিতে রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গাঁধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা।  রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে লেখেন, পুণ্যতিথিতে বাপুকে স্মরণ করছি। তাঁর মহৎ আদর্শকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। 


প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, আজ আমাদের পূজনীয় বাপু মহাত্মা গান্ধীজির পুণ্যতিথিও বটে। ৩০ জানুয়ারির এই দিন, আমাদের বাপুর শিক্ষাকে স্মরণ করার। এদিনই আমদাবাদে গান্ধীজির ম্যুরালের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি দিল্লিতে হত্যা করা হয় জাতির জনককে। মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে। গডসের ভূমিকা নিয়ে এখনও তর্ক-বিতর্ক চলে দেশে।


তারই মধ্যে এদিন মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে গান্ধীজির হত্যাকারী নাথুরাম গডসে এবং অন্যতম অভিযুক্ত নারায়ণ আপ্তেকে শ্রদ্ধা জানায় হিন্দু মহাসভা। এই প্রেক্ষাপটে রাহুল গান্ধী এদিন ট্যুইটারে লেখেন, এক হিন্দুত্ববাদী গান্ধীজিকে গুলি করেছিলেন। সমস্ত হিন্দুত্ববাদী মনে করেন, গান্ধীজি আর নেই। যেখানে সত্য আছে, সেখানে আজও বাপু বেঁচে আছেন। এদিকে এদিন মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির দফতরেও গান্ধী স্মরণ করা হয়। তা নিয়েই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ। 


তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "গাঁধীজির প্রয়াণ দিবসের পরিবর্তে ওদের উচিত গডসে ধিক্কার দিবস পালন করা।" সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, মনে করিয়ে দিই স্বাধীনতার পর দেশে সবথেকে বড় হিংসা ঘটিয়েছিল আরএসএস। তারাই এখন মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন পালন করছে। বিজেপির গাঁধী-স্মরণে কটাক্ষ বিরোধীদের। পাল্টা জবাব গেরুয়া ব্রিগেডের। 


বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, "টাকার নোট হয়ে কংগ্রেসের পকেটে গেছি। কিন্তু বুকে যায়নি। গান্ধীজিকে স্মরণ করেছে বিজেপি স্বচ্ছ ভারত অভিযান।" সব মিলিয়ে মহাত্মা গাঁধীর প্রয়াণ দিবসেও এড়ানো গেল না রাজনৈতিক তরজা।