Maheshtala Incident: দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মহেশতলায়। তাণ্ডবের চিত্র দেখা গিয়েছে সেখানে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। নাগাড়ে ইটবৃষ্টি আর পাথর ছোড়া হয়েছে পুলিশদের উপর। রক্তাক্ত হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী। শুধু যে পুলিশকর্মীরা আহত হয়েছেন তা নয়, রবীন্দ্রনগর থানার সামনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের একটি বাইকে। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের গাড়ি। পাথর, ইট ছুড়ে ভাঙা হয়েছে পুলিশের গাড়ির কাচ।
মহেশতলার এই পরিস্থিতি নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মহেশতলায় আধসেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছেন, আগামীকাল প্রশ্ন-উত্তর পর্বের পর বিধানসভা চলতে দেওয়া হবে না। বুধবার দুপুরের পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে মহেশতলায়। সন্ধ্যায় ভবানীভবনে ডিজি- র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান শুভেন্দু অধিকারী। মহেশতলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নিন্দা করেছেন বিরোধী দলনেতা। ভবানীভবনের সামনে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, 'পুলিশ ফেল, মমতা ফেল। ওখানে আইন-শৃঙ্খলা কাজ করছে না। আমরা যখন দরকার যাব। প্রতেকটা বাড়ি থেকে এফআইআর করানো, নিরাপত্তা দেওয়া, হিন্দুদের জন্য আমরা আছি। ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়িতেও যা করেছি, এখানেও তাই করব।'
বিরোধী দলনেতা বলেছেন, 'মহেশতলার মেটিয়াবুরুজ। পুলিশের গাড়িও ভেঙেছে। প্রচুর পুলিশ রক্তাক্ত। হিন্দুরা রক্তাক্ত। আমি এবং আমার ৫ কলিগ দেখা করতে এসেছিলাম মহামান্য ডিজি- র সঙ্গে। উনি থেকেও মিট করেননি। মিট করেননি মমতার নির্দেশে। কারণ আমরা জানি সবাই ল্যাম্পপোস্ট। একটা পোস্ট। হিন্দু বিরোধী সরকার। মুসলিম লিগের সরকার। অত্যাচারীর সরকার। ধূলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়ির পরে কলকাতার কাছে ১০ কিলোমিটার দূরে অত্যাচার। আগামীকাল বিধানসভা চলতে দেওয়া হবে না। কোয়েশ্চেন-অ্যানসারের পরে বিধানসভা চলতে আমরা দেব না।'
শুভেন্দু আরও বলেন, 'রাজীব কুমার ঠান্ডা ঘরে বসে আছে। পুলিশদেরই নিরাপত্তা দিতে পারে না। ৩৫টা পুলিশ মার খেয়েছে। ১২টা পুলিশের গাড়ি ভেঙেছে। মুসলমানদের সরকার। জঙ্গিদের সরকার। জেহাদিদের সরকার। আগামী বছর রাজীব কুমার চাকরি করতে হবে। পালাতে তোমাকে দেব না। মমতা মুখ্যমন্ত্রী থাকবে না। এই সময়, ২০২৬, আজকে ১১ জুন লিখে রাখুন মমতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হবে। রাজীব কুমারকে থাকতে হবে। আজকের দিন, সময় আমি নোট করে নিয়ে আমি ভবানীভবন ছাড়ছি। মুসলিম লিগের সরকার। মহম্মদ আলি জিন্না, সুরাবর্দি, তাঁদের আদর্শের সরকার। কমপ্লিট মুসলমানের সরকার। এক চোখ বন্ধ। আর আমার পুলিশ ভাইরা মার খাচ্ছে। পুলিশের ছেলেরা মার খাচ্ছে। মহিলারা মার খাচ্ছে।'
মহেশতলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বোলপুরের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের আইসি-কে কদর্য ভাষায় আক্রমণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'বোলপুরের আইসি- র যেমন মা আর বউ তুলেছে, ছুঁতে পারেনি টিকি, এই পুলিশদের অবস্থা তাই। বাড়িতে যান, ঝাঁটা খাবেন। আজ রাতেই ঝাঁটা খাবেন।'