জয়ন্ত রায়, মহেশতলা : পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক উচ্চ মাধ্যমিক (HS) পরীক্ষার্থীর। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে অপর এক ছাত্র। মহেশতলা (Maheshtala) ডাকঘরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত ছাত্রের নাম সায়েদ হালদার। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর এহেন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মহেশতলা থানার পুলিশ লরিটিকে আটক করেছে। এর পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইকটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মহেশতলা হাই স্কুলের দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আজ পরীক্ষার শেষে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল। দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ ডাকঘরের কাছে একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাদের বাইকের। দুই জনেই ছিটকে গিয়ে রাস্তার পাশের নর্দমায় পড়ে। দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন সায়েদ হালদার। সে ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে যায়। অপর আর এক ছাত্র সৈয়দ ইরফান আলির ডান পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। দুই জনকেই মহেশতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সায়েদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। আপাতত ইরফানের চিকিৎসা মহেশতলার এই বেসরকারি হাসপাতালে হলেও, তাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর থানার অন্তর্গত অশোকনগর মানিকতলা এলাকায় রাস্তা পারাপার করার সময় লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক সাইকেল আরোহীর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম পরিতোষ শিকদার। বাড়ি মানিকতলা এলাকায়।
যখন রাস্তা পারাপার করছিল পরিতোষ, ঠিক তখনই একটি লরি এসে সজোরে ধাক্কা মারে তাঁকে। তিনি ছিটকে পড়েন রাস্তায় এবং লরির চাকায় পিষ্ট হয় বেশ কিছুক্ষণ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় অশোকনগর থানায়।
অশোকনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সন্ধান চালাচ্ছে । যদিও এখনও পর্যন্ত ধরা যায়নি গাড়িটিকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অশোকনগর এলাকায় যশোর রোডের উপরে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।