Maheshtala Chaotic Situation: ২ মাসে ৩ বার। জঙ্গিপুর, ভাঙরের পর এবার মহেশতলা। আবারও আক্রান্ত সেই পুলিশ, আইনের রক্ষক। দুষ্কৃতীদের ছোট ইট-পাথরের আঘাতে পুলিশের গাড়ি ভেঙেছে। আহত হয়েছেন অনেক পুলিশকর্মী। ডিসি পোর্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর কপালের বাঁদিকে তিনটি সেলাই পড়েছে। লালবাজারের সার্জেন্টও আহত হয়েছেন। বুধবার মহেশতলায় দুষ্কৃতীরা যে তাণ্ডব চালিয়েছে, সেই প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। আমাদের এই বাংলায় হিংসার কোনও জায়গা নেই। বাংলা কখনই গুজরাত হবে না। এখানে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ছিলাম, আছি, থাকব। সর্ব ধর্ম সমন্বয় নিয়ে থাকব। আমরা সবাই আনন্দের সাথে থাকব। যদি কিছু ক্রিমিনাল তারা ভিন্ন করার চেষ্টা করে, আইন কঠোরভাবে তার প্রতিরোধ করবে। আইনের রক্ষক যখন যায়, ক্রিমিনাল যদি কোথাও অত্যাচার করে, আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে, তার ব্যবস্থা হবে। তাকে অ্যারেস্ট হবে। তাকে কড়া থেকে কড়া শাস্তি হবে। অন ডিউটি কেউ থাকলে, তাদের উপর আক্রমণ হলে আইন অনুসারে যে শাস্তি হওয়ার সেই শাস্তি হবে। কাউকে ছাড়া যাবে না। আইনের উপরে কেউ নয়।' 

ফলের দোকান কোথায় বসানো হবে তা নিয়ে শুরু হয় ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষ। আর খানিকক্ষণের মধ্যেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মহেশতলা। তুমুল উত্তেজনার পরিস্থিতি দেখা যায় রবীন্দ্রনগর থানার সামনেই। বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। নাগাড়ে ইটবৃষ্টি হতে থাকে পুলিশের উপর। স্থানীয় বাড়ি, দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। বাদ যায়নি ওষুধের দোকানও। বড় বড় পাথর ছোড়া হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে। ভাঙা হয় পুলিশের গাড়ির কাচ। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন এই ঘটনায়। এদিন মহেশতলায় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের সামনে পুলিশকে কার্যত 'অসহায়' পরিস্থিতিতে দেখা গিয়েছে। রাস্তার যেদিকে পুলিশ ছিল, তার উল্টো দিক থেকে সমানে উড়ে আসছিল আধলা ইট, পাথর। প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছুটা নাজেহাল হতে হয় পুলিশকে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী ছিল না এলাকায়। পরবর্তীতে অবশ্য অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী গিয়ে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রবীন্দ্রনগর থানার কাছে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এলাকায় প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখনও রয়েছে থমথমে। 

মহেশতলার ঘটনার পর সেখানে আধা সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি এও জানিয়েছেন যে আগামীকাল বিধানসভা অচল করে দেওয়া হবে। প্রশ্ন-উত্তর পর্বের পর আর বিধানসভা চলতে দেবেন না তাঁরা।