কলকাতা : পয়গম্বর বিতর্কে পর উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু শহরে । বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর যোগী-রাজ্যে পরপর হিংসার ঘটনা ঘটে । বিক্ষোভকারীদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে যোগী সরকারের উপর। এই ঘটনার কথা বিজেপির নবান্ন অভিযানের পর উঠে এল মহুয়া মৈত্রর ট্যুইটে।
যোগী-মডেল মনে করালেন মহুয়া
বিজেপির নবান্ন অভিযানে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ নিয়ে যোগী-মডেল মনে করালেন মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল সাংসদ ট্যুইট করেন, 'বাংলা যদি ভোগী অজয় বিস্তের মডেল ব্যবহার করে যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে সেই বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বুলডোজার পাঠাত, তাহলে কেমন হত? বিজেপি কি নিজেদের নীতিতে অনড় থাকবে? ' ট্যুইটে খোঁচা তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর।
বুলডোজার চলেছিল UP তে
পয়গম্বর বিতর্কের পর উত্তরপ্রদেশে অশান্তির পর বুলডোজার চলেছিল কানপুর, সাহারানপুর, প্রয়াগরাজে । হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কিছু ব্যক্তির বাড়িঘরের উপর বুলডোজার চালানোর ঘটনা ঘটে । তা নিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টও। সেই প্রসঙ্গ টেনেই বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মহুয়া। যদিও জবাব দিতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, এখনও পর্যন্ত সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের প্রমাণ মেলেনি। আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা ভাঙচুরের জন্য জরিমানা দিন। নবান্ন অভিযানে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে প্রতিক্রিয়া দেন রাহুল সিন্হা।
নবান্ন চলো কর্মসূচি
মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন চলো কর্মসূচির অন্যতম ভরকেন্দ্র ছিল হাওড়ার সাঁতরাগাছি। সেখানে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধে জড়ান পুলিশ ও বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছোড়ে পুলিশ। অন্যদিকে, রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে হাওড়া ময়দান। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ছোড়ে। মিছিলে বাধা দিলে, রাস্তায় অবস্থানে বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার ও অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁদের সেখান থেকে আটক করে পুলিশ। পরে শিবপুর থানা থেকে বিজেপি নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কলকাতায় এমজি রোডের ওপর, লালবাজারের কাছে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। আতঙ্কে বন্ধ হয়ে যায় আশেপাশের বহু দোকান। বিজেপি বলছে, তাদের সমর্থকরা আগুন লাগায়নি। যদিও তৃণমূল আঙুল তুলছে তাদের দিকেই।