রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : আজ মাল ব্লকের মানাবাড়ি চাবাগানে খাঁচা বন্দি হল একটি চিতাবাঘ। চা  বাগানের ১২ নম্বর সেকশনে খাচার মধ্যে এই চিতাবাঘ দেখতে পায় শ্রমিকেরা। এরপর মালবাজার বন দপ্তরকে খবর দেওয়া হলে বন কর্মিরা এসে খাঁচা বন্দি চিতাবাঘ টিকে গরুমারায় নিয়ে যায়। বাঘটি সুস্থ হলে গোরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। বেশ কিছুদিন যাবৎ চাবাগানে চিতাবাঘের উপদ্রব বেড়ে যাওয়া শ্রমিকদের দাবি মতো বাগানের ১২ নাম্বার সেকশনে পাতা হয় খাঁচা টিকে। শ্রমিকদের দাবি আরও চিতাবাঘ আছে বাগানে। সেই জন্য আবার যাতে খাচা পাতা হয় এই বাগানে তার দাবি জানিয়েছে চাবাগানের শ্রমিকেরা।


কিছুদিন আগে ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে এনক্লোজার টপকে পালিয়ে যায় একটি চিতাবাঘ। এই খবরে সমগ্র  এলাকাতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানা। এদিকে এই ঘটনায় বন দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বন দফতরের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


২০১৮ সালে আনা হয়েছিল চিতাবাঘটিকে। সেটি এনক্লোজার থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সতর্কতায় বনদফতরের তরফে এলাকাজুড়ে প্রচার করা হয়। মাইকে প্রচার করে মানুষকে সতর্ক করা হয়।  লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয় এবং এ ধরনের কোনও জন্তু দেখলে থানা বা বন দফতরে খবর দিতে বলা হয়। 


রাতভর তল্লাশির পর এদিন চিতাবাঘটিতে চিড়িয়াখানা চত্বরেই দেখতে স্বস্তির নিশ্বাস পড়ে। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে করে চিতাবাঘটিকে খাঁচায় ফেরানো হয়। পুরো প্রক্রিয়ায় চলে বন দফতরের আধিকারিকদের পর্যবেক্ষণে। জানা গেছে, শিলিগুড়ি-ডুয়ার্স অঞ্চল থেকে ওই চিতাবাঘটিকে আনা হয়েছিল। শিলিগুড়ি ডুয়ার্স অঞ্চলে ওই চিতাবাঘের হামলায় কয়েকজন জখম হয়েছিল। এরপর তাকে ধরে তিন বছর আগে জঙ্গল মহলে পাঠানো হয়েছিল। এই চিতাবাঘের নাম রাখা হয় হর্ষিণী। ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় হর্ষিণী সহ দুটি চিতাবাঘ রয়েছে।