করুণাময় সিংহ, ইংরেজবাজার: মালদার ইংরেজবাজারের বাঁশবাড়ি এলাকায় বিজেপি বিধায়কের পাড়ায় বিধায়ক কর্মসূচি ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। আজ সকালে ‘পাড়ায় বিধায়ক’ কর্মসূচির আয়োজন করেন ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এলাকার মানুষের সমস্যা শোনার জন্য এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ভোটের সঙ্গে কর্মসূচির কোনও সম্পর্ক নেই।’ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের কটাক্ষ, ভোটের আগে নাটক করছেন বিজেপি বিধায়ক। সাধারণ মানুষেরও দাবি, বিজেপি বিধায়ককে সারাবছর এলাকায় পাওয়া যায় না।


নিজের নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের সমস্যা জানতে আজ সকালে ক্যাম্প করেছিলেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক। ক্যাম্পে আসা লোকজনের কথা শোনেন তিনি। তবে পুরভোটের আগে এভাবে ক্যাম্প করা নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। এই কর্মসূচিকে রাজনৈতিক গিমিক বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। মালদার তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র শুভময় বসু বলেছেন, ‘নির্বাচনে জেতার পর থেকে বিধায়ককে এলাকায় দেখা যায় না। এখন পুরভোটের আগে নাটক করছেন তিনি। এসব করে কোনও লাভ হবে না। বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ যে ভুল করেছিল, এই নির্বাচনে তার পুনরাবৃত্তি হবে না।’


শুধু ঘাসফুল শিবিরই নয়, যাঁদের জন্য ‘পাড়ায় বিধায়ক’ ক্যাম্প, সেই এলাকাবাসীদের একাংশও বিজেপি বিধায়কের ভূমিকার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। স্থানীয় বিধায়ক কাশীনাথ চৌধুরীর দাবি, ‘করোনাকালে মানুষ যখন সমস্যায় পড়েছিল তখন বিধায়ককে দেখা যায়নি। এখন ভোটের আগে তিনি রাজনীতি করছেন।’


তবে এই ক্যাম্পের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছেন বিধায়ক। তাঁর দাবি, ‘পাড়ায় বিধায়ক কর্মসূচি সাধারণ মানুষের জন্য। পুরভোট শেষ হয়ে গেলেও পাড়ায় বিধায়ক কর্মসূচি চালু থাকবে।’


২৯ আসনের ইংরেজবাজার পুরসভায় গতবার বোর্ড গড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের নিরিখে সেখানে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ২৩টি আসনে। ৬টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থায় স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের কর্মসূচি পুরভোটে কোনও প্রভাব ফেলে কিনা সেটাই এখন দেখার।