করুণাময় সিংহ, মালদা: রাতের অন্ধকারে মাটি চুরির অভিযোগ (Soild Theft)। অভিযোগের তির তৃণমূলের ব্লক সভাপতির দিকে। সেই নিয়ে উত্তাল মালদা (Malda News)। রাতের অন্ধকারে ট্রাকে চাপিয়ে তিনি মাটি পাচার করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল (TMC) নেতা যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু তা নিয়ে চরমে রাজনৈতিক তরজা। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। 


মালদার চাঁচলে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মাটি চুরির অভিযোগ


মালদা জেলার চাঁচলের ঘটনা। মাটি চুরির অভিযোগ সেখানকার ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি রফিকুল হোসেনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলছে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি। সংগঠনের সভাপতি আতাউর রহমান চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। রফিকুল যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন।


জমি বা নদী থেকে কোনও ভাবেই মাটি কাটা যাবে না বলে নির্দেশ রয়েছে প্রশাসনের। কিন্তু অভিযোগ, প্রশাসনিক নির্দেশ অস্বীকার করে রাতের অন্ধকারে দেদার মাটি তোলা চলছে। তার পর সেই মাটি ট্র্যাক্টরে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চাঁচলের আদর্শ পল্লী এলাকায়। সেখানে রফিকুলের একটি জমি রয়েছে। মাটি তুলে নিয়ে গিয়ে সেই জমি ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। 


আরও পড়ুন: Rupchand Pal Death: হুগলির একদা দাপুটে নেতা রূপচাঁদ পাল প্রয়াত, ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায়


মাটি তোলার অভিযোগ শুধু স্থানীয় রাজনৈতিক মহলেই থেমে নেই। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসে সম্প্রতি। চাঁচলের আসরাইল এলাকার বাসিন্দা অনিজউদ্দিন আহমেদের অভিযোগ, প্রশাসনের নির্দেশ রয়েছে মাটি কাটা বন্ধ। অথচ তার পরেও মাটি কেটে ট্র্যাক্টরে চাপিয়ে পাচার হচ্ছে। তা দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে রফিকুলের জমি। অনিজউদ্দিন বলেন, "আমরা মাটির জন্য বাড়ির কাজ করতে পারছি না। সেখথানে সভাধিপতি কীভাবে করছেন! ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন উনি। আমরা চাই, মাটি কাটা বন্ধ হোক অবিলম্বে।"


মাটি চুরির অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের কংগ্রেস নেতৃত্বও। সেখানে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা আইএনটিইউসি-র সভাপতি কাজি আতাউর রহমান বলেন, "গরু চোর,কয়লা চোরের পর এ বার মাটি চোর। নির্দেশ রয়েছে মাটি কাটা বন্ধ। নিয়ম সবার জন্যই সমান। স্বয়ং জেলা পরিষদের সভাধিপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। প্রশাসনের মদতে রাতের অন্ধকারে মাটি পাচার হচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।"


অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল নেতার, নিশ্চুপ জেলা নেতৃত্ব


 যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রফিকুল। তিনি বলেন, "প্রশাসনের নির্দেশে মাটিকাটা বন্ধ রয়েছে। কোথাও মাটি কাটা হচ্ছে না। বিরোধীরা অভিযোগ করতেই পারেন। তবে তা সত্য নয়।"


এই ঘটনায় শাসকদলের নেতাদের চোর বলে আক্রমণ করেছেন মালদা উত্তরের বিজেপি সংসদ খগেন মুর্মুও। তবে এ বিষয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত।