করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদায় (Malda) টেট-এ (TET) ভুয়ো পরীক্ষার্থী সহ ৩ জন গ্রেফতার। অন্যের অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকেও শেষরক্ষা হল না। পরিদর্শকের সন্দেহ হওয়ায় হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় সন্দেহভাজনকে। ধৃত ভুয়ো পরীক্ষার্থী পুষ্পাঞ্জলি কুমারী বিহারের পূর্ণিয়ার বাসিন্দা।


জেরা করে আরও গ্রেফতার:
ধৃত পুষ্পাঞ্জলিকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ২ জনকে। ধৃতদের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও বিজয় কুমার। পুলিশ সূত্রের খবর, স্ত্রীর হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিহারের পুষ্পাঞ্জলির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্বজিৎ। মিডলম্যান হিসেবে কাজ করে বিজয় কুমার। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার জন্য বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা রয়েছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে ভুয়ো পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


বিহার থেকে প্রায় ১৬২ কিলোমিটার দূরে মালদা। অতদূর থেকে অন্য তরুণীর হয়ে টেট দিতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ভুয়ো মহিলা পরীক্ষার্থী। ঘটনায় এক পান্ডা ও এক মিডলম্য়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা-সহ একাধিক প্রাক্তন এসএসসি কর্তা।


এই আবহেই, মালদায় ধরা পড়ল টেটে ভুয়ো পরীক্ষার্থী। নিয়োগ দুর্নীতি ও নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মধ্য়েই রবিবার ২০২৩-এর টেট নেওয়া হয়। বায়োমট্রিক দিয়ে স্থানীয় মঙ্গলবাড়ির গৌড় মহাবিদ্যালয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকেও পড়েন ওই তরুণী। হাতে প্রশ্নপত্রও পেয়ে যান তিনি। কিন্তু, পরিদর্শকের সন্দেহ হওয়ায় এবং তাঁর কথায় অসঙ্গতি মেলায় মালদা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে টাকার বিনিময়ে অন্য়ের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসার কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম পুষ্পাঞ্জলি কুমারী। বিহারের পূর্ণিয়া জেলার বাসিন্দা ধৃত বছর ৩২-এর ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থী।


পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় পুকুরিয়ার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা এক তরুণীর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন পুষ্পাঞ্জলি। অভিযুক্তর মোবাইল ফোন থেকে ফোন করে তরুণীর স্বামী বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও মিডলম্য়ান বিজয় কুমারকে ডাকা হয়। মঙ্গলবাড়ি রেল গেটের কাছে এলে তাঁদেরকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত মিডলম্য়ান বিজয়ও বিহারের পূর্ণিয়ার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রের খবর, একটি ভুয়ো পরীক্ষার্থী চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই চক্রের পিছনে কারা রয়েছে জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। গৌড় মহাবিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনায় মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 


আরও পড়ুন: বাবা মুড়ি ভেজে সংসার চালান, নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনে গিয়ে গ্রেফতার একমাত্র ছেলে