করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদার গাজোলে এবার স্কুলের ভিতরে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল (Girl Physically Assaulted)। স্কুলের দোতলার ঘরে ওই ছাত্রীর উপর নৃশংস অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ সামনে এল (Malda News)। ওই ছাত্রী ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির স্থানীয় তিন যুবকের বিরুদ্ধে। তাঁদের গ্রেফতার করেছে মালদা পুলিশ (District News)। এই ঘটনায় অতিরিক্ত জেলাশাসকের নেতৃত্বে তিন সদস্য়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালদার জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া।
মেয়েটির পরিবারের তরফে এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়
শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, গাজোলের ওই স্কুলের দোতলায় নির্যাতিতাকে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর তিন যুবক মিলে ধর্ষণ করেন তাঁকে। মেয়েটির পরিবারের তরফে এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার উপর ভিত্তি করে তিন যুবককে গ্রেফতার করে মালদা পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Arjun Singh : 'দিদিমণি গটআপ করে নিয়েছেন বলে প্রচার' এবার বাবুলকে নিয়ে বোমা ফাটালেন অর্জুন
স্কুলের ভিতরে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রশ্ন উঠছে স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে। এমনকি ঘটনার সময় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোথায় ছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। স্বভাবতই এই পাশবিক ঘটনায় স্কুলের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্কুলের ভূমিকাও।
সংলগ্ন এলাকাতেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পুলিশের তরফে
নির্যাতিতার পরিবারের তরফে দায়ের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আপাতত তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ওই স্কুল এবং তার সংলগ্ন এলাকাতেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। মালদার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় গণধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অন্য দিকে, বাংলার শিক্ষিকাকে বরখাস্তের নোটিস ঘিরে বিতর্কের জের। উত্তর ২৪ পরগনার আড়িয়াদহে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাল কয়েকটি সংগঠন। চাপের মুখে পড়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথা জানাল স্কুল কর্তৃপক্ষ। চার বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। সেই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে অবশেষে দাবি মেনে নিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর ২৪ পরগনার আড়িয়াদহের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল হোলি চাইল্ড। বাংলা ভাষা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করে, সম্প্রতি স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা দেবস্মিতা রায়কে চাকরি থেকে বরখাস্তের নোটিস পাঠান স্কুল কর্তৃপক্ষ। নোটিস ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর পরই শুরু হয় বিতর্ক।
তাতে সোমবার ওই স্কুলে যান কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও বাংলার শিক্ষিকাকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। কার্যত স্কুল কর্তৃপক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভের কড়া নিন্দা করেন বিধায়ক। কিন্তু, বিক্ষোভের মুখে অবশেষে সিদ্ধান্ত বদল করে বরখাস্তের নোটিস প্রত্য়াহারের কথা জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ। নোটিসে প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছে বলে তাঁদের দাবি।