অভিজিৎ চৌধুরী, করুণাময় সিংহ, মালদা: ক্ষতিকারক রাসায়নি (Harmful Chemicals) মেশানো চলছে দেদার, যা শরীরে গেলে হতে পারে হার্ট ব্লক এমনকি ক্যান্সারও। ভেজাল হলুদ তৈরির কারখানায় (Adulterated Turmeric) গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় হল। বিষয়টি চাউর হতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। কিন্তু প্রশাসনের নজরদারি কী ভাবে এতদিন এমন কাণ্ড ঘটছিল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (Malda News)। 


প্রশাসনের নজরদারি কী ভাবে এতদিন এমন কাণ্ড ঘটছিল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন


মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রামপুরের ঘটনা। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার এলাকার তিনটি হলুদ এবং রান্নার মশলা তৈরির কারখানায় হানা দেয় খাদ্য সুরক্ষে এবং ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। সেখানে পৌঁছে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয় আধিকারিকদের। দেখা যায়, ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশিয়ে চলছে হলুদ তৈরি।


ওই তিন কারখানায় ভেজাল হলুদ তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিলই। তা যাচাই করতেই এ দিন হানা দেন আধিকারিকরা। তাতেই বিষয়টি সামনে আসে। ওই তিন হলুদ কারখানাকে নোটিস ধরানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন চাঁচল মহকুমার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক ডঃ রাহুল কুমার মণ্ডলও। 


আরও পড়ুন: Leopard Babies Rescued: লাফাতে লাফাতে সোজা নর্দমায় ২ চিতাবাঘ শাবক, কাটল দুপুর থেকে রাত, শেষে ঘাড় ধরে টেনে নিয়ে গেল মা


খাদ্য এবং ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকদেরর মতে, বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে অধিক মুনাফা লাভের জন্য ভেজাল হলুদ এবং লঙ্কার গুঁড়ো তৈরি হতো কারখানাগুলিতে, যে হলুদ রমরমিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিক্রি হয়েছে বাজারেও। কারখানা থেকে সংগৃহীত হলুদ এবং মশলার নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। তার পর এ ব্যাপারে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।


এ দিন খাদ্য এবং ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা ভেজাল হলুদ এবং রান্নার মশলা তৈরির কথা মেনে নেন। তাঁরা জানান, এই ধরনের হলুদ এবং মশলা খেলে হার্টের অসুখ থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। এই কথা শুনে উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী। কারণ দীর্ঘ দিন তাঁরা এই হলুদ খেয়েছেন। 


পদক্ষেপ করতে প্রশাসন এত দেরি করল কেন, উঠছে প্রশ্ন


চাঁচল মহকুমার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক রাহুল মণ্ডল বলেন, "আমাদের কাছে খবর ছিলই। পরিকল্পনা মাফিক আমরা পুলিশ এবং ক্রেতা সুরক্ষা দফতরকে নিয়ে অভিযান চালাচ্ছি। তিনটি হলুদের কারখানা কে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে প্রশাসনিক ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে মানুষকেও সচেতন করব।" কিন্তু অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পদক্ষেপ করতে প্রশাসন এত দেরি করল কেন, উঠছে প্রশ্ন।