করুণাময় সিংহ, মালদা: মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এবং প্রশ্নফাঁস! বিগত কয়েকবছর এ যেন একে ওপরের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি পরপর কয়েকবছর ধরেই এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনা কার্যত আঙুল তুলে দিয়েছে ব্যবস্থার দিকে। পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পরই সুযোগ বুঝে তার ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ফি বছরই কম বেশি হয়েই চলেছে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট পর্ষদ। প্রশ্নফাঁসের ঝুঁকি এড়াতে নয়া পদক্ষেপ করতে চলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷
২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ‘প্রশ্ন ফাঁস’ রুখতে আনা হচ্ছে একেবারে নতুন একটি ব্যবস্থা। এই পদ্ধতিতে কোনও প্রশ্নপত্রের ছবি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে বেরোলেই সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্রটি কোন পরীক্ষার্থীর তা ধরে ফেলা যাবে। কিন্তু কীভাবে? তা বোঝাতে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার মালদায় এসে জেলার শতাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি প্রশ্নপত্রে একটি করে ‘স্বতন্ত্র কোড’ থাকবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেই সেই ইউনিক কোড দেখে পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এছাড়াও সমস্ত স্কুলে থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে ঢোকা বারণ। এমনকি পরীক্ষার্থীর কোলের শিশুকে দুগ্ধ পান করানোর ক্ষেত্রেও এবার কড়াকড়ি হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।