রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: স্কুল থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না। পথেই মৃত্যু হল স্কুল পড়ুয়ার। দৌলতাবাদের চোঁয়াডাঙ্গা গ্ৰামের ঘটনা। এদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে মুকলেসুর রহমান নামে বছর সাতেকের ওই শিশু চোঁয়াডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। এ দিন দুপুরে টিফিনের পর ওই ছাত্র বাড়ি ফিরছিল। স্থানীয়দের দাবি সেই সময়ে রাস্তার পাশে একটি বস্তু কুড়িয়ে পায় সে। হাতে নিয়ে বল ভেবে তা দেওয়ালে ছুঁড়ে মারতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে গুরুতর জখম হয় ওই ছাত্র। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে কে বা কারা রাস্তার পাশে বোমা রেখেছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। কীভাবে জনবহুল রাস্তায় এভাবে বোমা রাখা থাকতে পারে তা ভেবেই অবাক হচ্ছেন স্থানীয়রা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আগেও মুর্শিদাবাদে বিস্ফোরণ: একাধিকবার বাংলায় বারবার বোমা বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হয়েছে শৈশব। এই মুর্শিদাবাদেই একাধিকবার বোমা-বিদ্ধ কৈশোর। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় হাউসনগরে বোমা ফেটে আহত হয় ৩ শিশু। বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়। স্কুলে যাওয়ার পথে বোমায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বোমার আঘাতে উড়ে যায় হাত-পা। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার হাউসনগর গ্রামে বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ ICDS সেন্টার থেকে খাবার আনতে যাচ্ছিল তিন শিশু। পুকুর পাড়ে পড়েছিল বোমা। বল ভেবে হাতে তুলতেই বিস্ফোরণ হয়। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে তিনজনের ভর্তি করা হয়। কে বা কারা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বোমা রেখে গিয়েছিল, তার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
একাধিকবার বোমা ফেটে আক্রান্ত শিশু: শুধু ফারাক্কা বা দেগঙ্গাই নয়। গত ১৬ অক্টোবর, পুজোর আগে নদিয়ার নাকাশিপাড়ার মুড়াগাছা গ্রামে বোমা ফেটে জখম হয় দুই ভাই-সহ ৩ বালক।তার আগে ১৮ অগাস্ট,মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণে জখম হয় এক নাবালক। ১৫ জুলাই, এই জেলারই সালারে বোমা ফেটে জখম হয় এক বালক ও এক শিশু।৩০ জুলাই,একই দিনে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে উত্তর ২৪ পরগনা ও মালদা, দুই জেলায় বোমা ফেটে গুরুতর জখম হয় দুই বালক। বসিরহাটে হাত উড়ে যায় এক বালকের। মানিকচকে বোমা ফেটে গুরুতর জখম হয় আরেক বালক।