করুণাময় সিংহ, মালদা: ফের রাজ্যে টাকার পাহাড়। এবার সীমান্তবর্তী জেলা মালদায়- (Malda)। মালদা জেলার কালিয়াচকে লক্ষ লক্ষ টাকার হদিশ মিলল। এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বহু পরিমাণ নগদ উদ্ধার (Money Recovery) হয়েছে। যার মোট মূল্য ৩৩ লক্ষ টাকা। পুলিশি অভিযানে এই টাকা উদ্ধার হয়।


কীভাবে এল এই টাকা:
পুলিশ সূত্রের দাবি, এই টাকার সঙ্গে মাদক কারবারের যোগ রয়েছে। ওই ব্যক্তি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি পুলিশের। গ্রেফতার করা হয়েছে ব্যবসায়ী ও তাঁর ভাইকে। ওই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ (West Bengal Police)।


মালদায় ফের উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ টাকা। যা যা টাকা উদ্ধার হয়েছে সবই ১০০ টাকার এবং ৫০০ টাকার  নোটের বান্ডিল। কোথা থেকে এল এত টাকা? নেপথ্যে কী? পঞ্চায়েত ভোটের মুখে, কেন এত টাকা মজুত করে রাখা হল? এমনই প্রশ্ন এখন মাথাচাড়া দিচ্ছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার, মালদার কালিয়াচকের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বান্ডিল বান্ডিল টাকা । পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৩৩ লক্ষ। পুলিশ সূত্রে দাবি, উদ্ধার হওয়া এই টাকার সঙ্গে মাদক কারবারের যোগ রয়েছে। মাদক বিক্রি করে এই টাকা জমা করা হয়েছিল। এই টাকা দিয়ে ফের মাদক কেনা হত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর পাশাপাশি, এই মাদক কোথায় বিক্রি করা হয়েছে? এর পেছনে আর কারা জড়িত রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জসিমুদ্দিন আহমেদ ও তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কালিয়াচকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজু ওরফে ইব্রাহিম নামে এক যুবককে খুঁজছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। এর আগেও রাজুর নামে মাদক মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। জসীমউদ্দীন আহমেদের নিকট আত্মীয় এই রাজু। কালিয়াচক থানার শ্রীরামপুর এলাকার বাসিন্দা রাজু। কালিয়াচকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত দুই জনের ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ মালদা জেলা আদালতের।


গত বছরেও উদ্ধার টাকা:
মালদার কালিয়াচকেই একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩৭ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা! কালিয়াচকের গঙ্গানারায়ণপুরে এসটিএফের অভিযানে উদ্ধার হয়েছিল টাকা। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রয়্যাল শেখ নাম এক যুবককে মাদক -সহ গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। এসটিএফ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া টাকা মাদক কারবারি রয়েল শেখেরই। রয়্যাল শেখের স্ত্রী ফতেমা বিবিকে অভিযুক্ত করে মামলা শুরু পুলিশের। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে টাকা ভিন রাজ্যের শ্রমিকের বাড়িতে রাখা ছিল, এমনটাই দাবি এসটিএফের।  


আরও পড়ুন: 'সবাই নির্বাচন চাইলেও হচ্ছে না কেন?' ছাত্রভোটের দাবিতে ফের উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়