অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: দীর্ঘ ২ দশক ধরে পুরসভা তৈরির দাবি জানিয়ে আসছেন মালদার চাঁচলের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকে সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বপ্নভঙ্গ হওয়ায় আশাহত চাঁচলবাসী। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।   


২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে মালদার চাঁচল পুরসভা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। সেবার তিনি বলেছিলেন, 'চাঁচল পুরসভার রাজ্যপালের সম্মতি বাকি ছিল সেটা হয়ে গেছে। নির্বাচনের ২ মাস আগেই হয়ে গিয়েছে। চাঁচল পুরসভা হয়ে যাবে।' কিন্তু বৃহস্পতিবার মালদায় প্রশাসনিক বৈঠকে সেই সম্ভবনা খারিজ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


দীর্ঘদিনের দাবি:
চাঁচলবাসীর পুরসভা তৈরির দাবি দীর্ঘ ২ দশকের। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো চাঁচল পুরসভা তৈরির ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। পুর এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে পানীয় জল, রাস্তাঘাট, নিকাশি ব্যবস্থা- সবই উন্নত হবে বলে আশা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের আগে গোটা বিষয়টি নিয়ে আশায় ছিলেন চাঁচলবাসী। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় আশাভঙ্গ হয়েছে তাঁদের। চাঁচলের বাসিন্দা জাহাঙ্গির আলম বলেন, 'আমরা চাঁচলবাসী হিসেবে ঘটনাটায় খুবই দুঃখিত এবং আশাহত। যখন মাননীয় বিধায়ক যখন বললেন তখন উনি যেভাবে টাকার কথা বলে খারিজ করলেন এবং একটা অজুহাত দেখালেন সেটা গ্রহণযোগ্য নয়।'


মুখ্যমন্ত্রী চাঁচল পুরসভা তৈরির সম্ভাবনা খারিজ করায় বিরোধিতা করেছে বিজেপি। উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, 'চাঁচলের মানুষ তো ভোট দিয়েছেন তৃণমূলকে। বিধায়ক তৈরি করেছেন। এই জন্য ভোট দিয়েছেন যে পুরসভা তৈরি হবে। তৃণমূল এইভাবে মিথ্যা কথা বলে। মানুষকে ধোঁকা দেয়।' পাল্টা তোপ দেগেছে বিজেপিও। 


তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, 'বিজেপি দলটা হচ্ছে একটা ধোঁকাবাজের দল। আর বিজেপির যে সংসদ এই কথা বলছেন তিনি হচ্ছেন একজন ধোঁকাবাজ। উনি এত বছর ধরে সংসদে আছেন। সাংসদ হয়ে আছেন উত্তর মালদার। উনি কিছু করেছেন মালদার জন্য?' এই নিয়ে চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

রাজনৈতিক তরজা বাদ দিলেও আশাভঙ্গ হয়েছে চাঁচলের বাসিন্দাদের। যে আশায় তাঁরা বুক বাঁধছিলেন, আপাতত তা বিশ বাঁও জলে। 


আরও পড়ুন: স্বাদ আনে, স্বাস্থ্যের জন্য় উপকারী, তিল বীজ ব্যবহারে কী লাভ?