কলকাতা: খাবার সাজাতে (Garnish) ব্য়বহার করা হয় তিলের বীজ। মূলত ফাস্টফুড, পাউরুটি এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতির বিভিন্ন খাবারে সজ্জার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয় তিলের বীজ। কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে বিভিন্ন খাবারের উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় তিলের বীজ। নাড়ু থেকে শুরু করে পিঠে, বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা হয় তিল।


স্বাদের দিক তো রয়েইছে। তার সঙ্গেই একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে এই তিলের। যা ভাল থাকার জন্য একান্তভাবে প্রয়োজনীয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।


একাধিক পুষ্টিগুণ:
তিলের বীজে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন থাকে। প্রোটিন সমৃদ্ধ তিলবীজ রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তিলের আরও একটি গুণ রয়েছে। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করে।


ভাল থাকে লিভার:
লিভার বা যকৃতের কার্যকারিতা ঠিক থাকবে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া একেবারে ঠিক থাকে। তিলের বীজে Methionine এবং Tryptophan নামের দুটি পদার্থ থাকে যা লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের সমস্যাও মেটায়।


স্মৃতির জন্য:
স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখতেও তিল প্রয়োজনীয় বলে দাবি করা হয়। তিলে Lecithin রয়েছে। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া মাতৃদুগ্ধের মান ভাল করতে সাহায্য করে। 


কোন তিলে কী পুষ্টি?
বিভিন্ন রঙের তিল পাওয়া যায়। কালো ও লাল তিল আয়রন সমৃদ্ধ। অন্যদিকে সাদা তিল ক্যালসিয়ামের উৎস। তিল বীজ অ্যানিমিয়া রোধ করতেও সাহায্য করে। 


পুষ্টির জন্য় অনেকে ডায়েটে সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়োর বীজ, চিয়া বীজ মিশিয়ে খান। সেখানে জায়গা করে নিতে পারে তিলের বীজও। 


কীভাবে খাওয়া যায়?
প্রথমে একটি প্যানে কিছু তীলের বীজ রোস্ট করে নিতে হবে। তারপর তা দুধে বা জলে মিশিয়ে খাওয়া যায়।


রোস্টেড তিল এমনিও খাওয়া যায়। তাতে কিছুটা গুড়ও মিশিয়ে নিতে পারেন।


তিলের তেল পাওয়া যায়। কিছু কিছু রান্না তিলের তেলে করতে পারেন।


তিলের বীজের পেস্ট করে নিন। তাতে রসুন, লেবুর রস, লুল মিশিয়ে সেটা রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। সস হিসেবেও খাওয়া যায়।


স্যালাডে ও স্মুদিতে রোস্টেড তিলবীজ মিশিয়ে দিতে পারেন, তাতেও উপকার মিলবে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর পর তা যেন আর ফিরে না আসে, নিজের খেয়াল রাখুন নিয়ম মেনে