করুণাময় সিংহ, মালদা: ভোররাতে বোমা ফেটে বিপত্তি। মালদায় (Malda News) মৃত্যু দুই দুষ্কৃতীর। গুরুতর আরও এক জন দুষ্কৃতী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ ঘটেই ওই দু'জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে (Malda Momb Blast)।
ভোররাতে মালদায় বোমা ফেটে বিপত্তি
মালদার মানিকচকের গোপালপুর এলাকার ঘটনা। ভোররাতে সেখানে তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সেখান থেকে দু'জনকে নিথর অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তৃতীয় জনকে।
আহত ব্য়ক্তিকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালপুরের একটি বাগানে গভীর রাত থেকে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। সেই সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে যায়। তাতেই দু'জনের মৃত্য়ু হয়। বিস্ফোরণস্থলে পুলিশের বিরাট বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। কোথা থেকে বোমা বাঁধার সরঞ্জাম এল, পরিমাণে কতটা ছিল, দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য কী ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে স্থানীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনার সময় আর কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এ দিনের বিস্ফোরণে ফের রাজ্য়ের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সকলের নজর এড়িয়ে কী ভাবে দুষ্কৃতীর দল বাগানে বোমা বাঁধার সরঞ্জাম নিয়ে ঢুকল, বোমা না ফাটলে বিষয়টি আদৌ চাউর হত কিনা, প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রাই। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বোমা বাঁধার সরঞ্জাম নিয়ে, সকলের নজর এড়িয়ে কী ভাবে দুষ্কৃতীদল এতদূর এগোল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
ফের বোমা বাঁধার ঘটনা সামনে এল
উল্লেখ্য, বছরের গোড়ার দিকে বগটুইকাণ্ডের পর রাজ্যের সর্বত্র হানা দিয়ে বোমা-গুলি, অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকে নিত্যদিনই বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা সামনে এসেছে। তা সত্ত্বেও কী ভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে দুষ্কৃতীদল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশ এবং প্রশাসন। কারণ গুলি-বোমাবাজিতে এই মুহূ্র্তে তেতে রয়েছে জগদ্দলও। অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটেছে সেখানে।