করুণাময় সিংহ, মালদা: হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে মোথাবাড়ি পৌঁছলেন বিরোধী দলেনতা শুভেন্দু অধিকারী। এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে মালদার মোথাবাড়ি। দোকান এবং গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। রাস্তায় আগুন জ্বালানো হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। হিংসার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। মোথাবাড়িকাণ্ডের প্রতিবাদে এর আগে কাঁথিতে মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা। 

আরও পড়ুন, আজ SSC অভিযান, চাকরিহারাদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

এদিন শুভেন্দু মোথাবাড়ি পৌঁছে বলেন, 'এখানে মানুষকে সরকার প্রোটেকশন না দিয়ে, দাবিয়ে রেখেছে। যে ২৪ জনকে ধরেছে, ওরা প্রকৃত দোষী নয়। ভিডিও ফুটেজ ধরে সব দোষীদের ধরতে হবে। এখানে ক্ষতিগ্রস্থ ৬ জনকে নিয়ে, উচ্চ আদালতে আমরা গিয়েছি। NIA , CBI দাবি করছি।'

সাংবাদিক: জঙ্গিপুর এবং মোথাবাড়ি, দুই জায়গাতেই আমরা দেখলাম, পুলিশকে দোকানঘরে লুকোতে হচ্ছে, কী বলবেন ?

শুভেন্দু অধিকারী : পুলিশ যখন ব্যবস্থা নেওয়ার, নেয়নি। ওরা যা করার করে দিয়েছে। ফেসবুক লাইভ করতে করতে করেছে। হঠাৎ তো হয়নি। জানিয়ে করেছে। যদি কারও আস্থায় আঘাত দেয়, থানায় যান। আইন হাতে তুলে নেবেন কেন ?

গত মাসে মালদার মোথাবাড়িতে যাওয়ার পথে সুকান্ত মজুমদারকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। ১২ ফুটের ব্যারিকেডে বাধা পেয়ে সেখানেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বাঁশের ব্যারিকেডের ওপর উঠে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক থেকে নেতা-কর্মীরা। দোকান এবং গাড়িতে ভাঙচুর, রাস্তায় আগুন।  গন্ডগোলের পর থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয় মালদার মোথাবাড়ি।

এরই মধ্যে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে মোথাবাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি, সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু মোথাবাড়ির প্রায় ৮ কিলোমিটার আগে, ইংরেজবাজারের সাদুল্লাপুরে আটকে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এরপরই তৈরি হয়েছিল ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করে দিয়েছিল পুলিশ। একেবারে ড্রিল করে রাস্তা খুঁড়ে তৈরি করা হয়েছিল শক্তপোক্ত ব্যারিকেড। কার্যত দুর্গের চেহারা নিয়েছিল এলাকা। 

সাদুল্লাপুরে মোট ২ টি ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল। পুলিশের গার্ডরেল দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল প্রথম ব্যারিকেড। সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এর ১৫-২০ মিটার দূরে প্রায় ১২ ফুটের দ্বিতীয় ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিশ। যে কাপড়ের দড়ি দিয়ে বাঁশের ব্যারিকেড বাঁধা হয়েছিল, ব্লেড দিয়ে সেই দড়ি কেটে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। আগুন জ্বালিয়ে কাপড়ের দড়ি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টাও করেছিলেন তাঁরা। ব্যারিকেডের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডিং করছিল পুলিশ।