করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদার (Malda)মানিকচকের গোপালপুর ও ভূতনির চরে গঙ্গা গিলে খাচ্ছে কৃষিজমি, বাড়িঘর। ভাঙন-রোধ এবং পুনর্বাসনের দাবিতে এবার পথে নামলেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা। ইংরেজবাজারের মিল্কি এলাকায় মালদা-মানিকচক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে অবরোধ। 


মানিকচকের ভূতনির চরে এলাকায় গতকাল সকাল থেকেই ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। কয়েকশো মিটার অংশ জুড়ে চলছে ভাঙন। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের একাংশ। এলাকা থেকে ফসল নিয়ে পালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভূতনির উত্তর চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালুটনটোলা ও কেশরপুরে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে গত ১৫ দিন ধরে ভাঙন ব্যাপক আকার নিয়েছে। বারবার জানিয়েও ভাঙন-রোধে প্রশাসনের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। আর এতেই ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, মানিকচকের গোপালপুর ও ভূতনির চরে গঙ্গা ভাঙন নিত্যনৈমিত্যিক ঘটনা। ভাঙন-রোধে কেন্দ্রের আচরণ বিমাতৃসুলভ, দাবি তৃণমূলের। পাল্টা টাকা চুরির অভিযোগ তুলে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


চলতি মাসে শুরু থেকেই মালদার মানিকচকে গঙ্গায় ভাঙন দেখা যায়। গোপালপুর অঞ্চলে প্রায় ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন শুরু হয়। প্রবল বৃষ্টিতে গঙ্গার জলস্তর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাঙনের কবলে পড়ে মানিকচকের এই এলাকা। অন্যদিকে, গঙ্গার পাড় বাঁধানোর কাজের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বাড়ি। বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। উত্তর ২৪ পরগনার গারুলিয়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাঙালিঘাট এলাকার ঘটনা। স্থানীয়দের দাবি, গঙ্গার পাড় বাঁধানোর কাজ চলছে কয়েকদিন ধরে। এর মধ্যে পুরনো একটি বাড়ি ভেঙে নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। ফাটল দেখা দেখা দেয় একাধিক বাড়িতে। আতঙ্কে ঘরছাড়া বেশ কয়েকটি পরিবার। স্থানীয় কাউন্সিলরের দাবি, একে পুরনো বাড়ি, তার ওপর টানা বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় এই ঘটনা। 


বছর আসে বছর যায় কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। এবছরই প্রথম এই ভাঙনের মুখ দেখছে এলাকাবাসী এমন নয়। গত বছরও মানিকচকের ভূতনির চরে ভাঙনের জেরে গঙ্গায় ভেসে যায় বাঁধের একাংশ, একাধিক বাড়ি। মানিকচকের কালুটনে, গঙ্গায় তলিয়ে যায় বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ। আতঙ্কে ঘর ছাড়েন নদীপারের বাসিন্দারা। 


আরও পড়ুন: WB Dengue: বাড়ছে উদ্বেগ, রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁইছুঁই