কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) ডিন অফ স্টুডেন্টস (Dean Of Student) রজত রায়কে তলব করল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন । আজ সকাল ১১টার পর কমিশনের দফতরে তাঁকে আসতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, ডিনের কাছে জানতে চাওয়া হবে, ওইদিন রাতে ফোন পেয়ে তিনি কী করেছিলেন? কাকে ফোন করেছিলেন রজত রায় এবং কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন? তদন্তকারীদের নজরে সেদিকে।


উঠে এল ১১ জনের নাম: উল্লেখ্য একের পর এক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে উঠে এল ১১ জনের নাম। ওইদিন তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ধৃত জয়দীপ ঘোষ। খবর পুলিশ সূত্রে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাদেরও বয়ান নিতে চায় পুলিশ। এর পাশাপাশি, আজ থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বভার নিতে চলেছেন নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। গতকাল ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তিনি। ঘুরে দেখেন ক্যাম্পাস। পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় যে গাফিলতি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না, তা গতকালই স্পষ্ট করে দেন নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য। যদিও সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে তাঁর নিয়োগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।         


পুলিশের স্ক্যানারে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট: ইতিমধ্যেই যাদবপুরকাণ্ডে পুলিশের স্ক্যানারে এক পড়ুয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। কী ঘটেছিল ওই রাতে? তা জানতে হস্টেলের এক আবাসিক ছাত্রের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ৯ অগাস্ট রাতে নদিয়ার হতভাগ্য পড়ুয়ার সঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল তা নিয়ে ওই ছাত্র হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করেছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কী কথোপকথন হয়েছিল, তা জানতেই গতকাল রাতে ওই পড়ুয়ার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। 


উল্লেখ্য এদিন যাদবপুর নিয়ে বেলাগাম মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ।  বললেন, 'কাশ্মীর ঠান্ডা করে দিয়েছি, কোথায় যাদবপুর?' ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় JNU-র প্রসঙ্গ টেনে দিলীপের মন্তব্য, সেখানে বুট দিয়ে মেরে সবাইকে আজাদ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যাদবপুরকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে নপুংসক অ্যাখ্যা দিয়ে দিলীপের বিধান, রাজ্যে পালাবদল হলে যাদবপুরে জয় শ্রীরাম স্লোগান উঠবে। গতকাল ভাটপাড়ায় দলীয় সভায় এই মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। 


আরও পড়ুন: Congress New Working Committee: নজরে লোকসভা ও পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, ওয়ার্কিং কমিটিকে ঢেলে সাজাল কংগ্রেস