করুণাময় সিংহ, মালদা: ঝাঁটা হাতে পুলিশের দিকে তেড়ে গেলেন বিজেপির (BJP) কর্মী সমর্থকরা। চলল পুলিশ (Police) ফাঁড়িতে ভাঙচুর। হুমকি।  বামনগোলায় বিজেপি কর্মী খুনে ইতিমধ্যেই মৃতের ছেলে ও তৃণমূলের (TMC) পরাজিত প্রার্থী বউমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু FIR-এ নাম থাকা বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপির বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গোটা এলাকা।


রবিবার যিনি হাঁটু মুড়ে বসে পুলিশের সামনে হাত জোর করে কাতর আর্তি জানিয়েছিলেন। সোমবার তিনিই রণচণ্ডী। সরাসরি পুলিশকে মারার হুঁশিয়ারি বিজেপি নেত্রী বীণা সরকার কীর্তনিয়া।                                  


প্রসঙ্গত, বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে রবিবারই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদার বামনগোলা। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিজেপি কর্মী বুড়ন মুর্মুর ঝুলন্ত দেহ। তৃণমূল প্রার্থী স্ত্রী ভোটে হেরে যাওয়ায়, বিজেপি কর্মী বাবাকে খুনের অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডে পুরোপুরি মদত রয়েছে তৃণমূলের। 


ইতিমধ্যে নিহত বিজেপি কর্মীর ছেলে বিপ্লব মুর্মু ও তাঁর স্ত্রী, গ্রাম পঞ্চায়েতের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা মারডিকে গ্রেফতার করেছে বামনগোলা থানার পুলিশ। কিন্তু, এফআইআরে নাম থাকা বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন, এই অভিযোগে।


সোমবার সকাল থেকে নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে শুরু হয় বিক্ষোভ। মালদা উত্তরের বিজেপি সংসদের কথায়, 'খুনিরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন? যারা খুন করেছে, যাদের নামে এফআইআর আছে, তাদের আপনারা এখনও গ্রেফতার করেননি কেন? এফআইআরে যাদের নাম, তাদের আগে গ্রেফতার করুন।' মালদার তৃণমূল জেলার সহ সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, 'পারিবারিক অশান্তির কারণে মৃত্যু হয়েছে। খগেন মুর্মু লোকসভার আগে ইসু তৈরি করছে। ৫ বছর কোনও কাজ করেনি। 


আরও পড়ুন, 'উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ টাকা চুরি করা চলবে না', ভোটের পরই বার্তা তৃণমূল বিধায়কের


এরপরই শুরু হয় পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর। কারও হাতে ঝাঁটা, কারও আবার ঝান্ডা, তা নিয়েই পুলিশের দিকে তেড়ে যান বিজেপি কর্মীরা। যে বিজেপি নেত্রী রবিবার পুলিশের কাছে কাতর আর্জি জানিয়েছিলেন সেই বীণা সরকার কীর্তনিয়া এবার পুলিশকে শাসালেন। এদিকে বাবাকে খুনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে অভিযুক্ত ছেলে। 


ভোট শেষ হলেও, সন্ত্রাস-উত্তেজনা কমবে কবে? উত্তর লুকিয়ে ভবিষ্যতের গর্ভে!