করুণাময় সিংহ, হরিশচন্দ্রপুর: বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবছরের মতো এবারও মালদার (Malda) বিভিন্ন জায়গা গঙ্গার ভাঙন(Ganga erosion) শুরু হয়েছে। যার ফলে প্রতিদিন আতঙ্কের মধ্যে জীবনযাপন করছেন গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন সময়ে গঙ্গা নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে নানা ব্যবস্থা নিলেও ফল খুব একটা মেলেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বারবার তাঁরা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন জানালেও কাজ খুব একটা হয়নি বলেই তাঁদের দাবি।


আরও পড়ুন: Train Accident: রেল লাইনে আগুনের ঝলকানি! ট্রেন থেকে ঝাঁপ যাত্রীদের, কোনক্রমে বাঁচল বনগাঁ লোকাল


রবিবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন এগিয়ে স্থানীয় এলাকার মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশচন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। হরিশ্চন্দ্রপুর দুই নম্বর ব্লকের রশিদপুর গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। জল বাড়তি ফুলহার নদীতে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। 


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। বারবার প্রশাসনকে জানানো হলে কোনও লাভ হয়নি। তাই আজ মন্ত্রী এলাকায় ভাঙনের ফলে সৃষ্টি অবস্থার পরিদর্শনে যেতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙন রোধ পুনর্বাসন সহ একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ হয়।


আরও পড়ুন: Nadia News: আইনকে বুড়ো আঙুল, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে সালিশি সভায় তরুণ-তরুণীকে মারধর


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতিবছর বর্ষা কাল হলেই আতঙ্ক বাড়ে মালদা জেলার বাসিন্দাদের। গঙ্গার তীরবর্তী এলাকায় যাঁরা বসবাস করেন তাঁদের পরিস্থিতি খুব সঙ্গীন হয়ে ওঠে। বর্ষার প্রকোপ একটু বৃদ্ধি পেলেই চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। গঙ্গার ভাঙন শুরু হলে কী হবে এই আতঙ্কেই রাত কাটে তাঁদের। কোথাও গঙ্গার ভাঙন হচ্ছে শুনলেই শুরু হয় চিন্তা। তোড়জোড় শুরু হয় জিনিসপত্র গুটিয়ে অন্য কোনও নিরাপদ স্থানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তাঁরা। এবার হরিশচন্দ্রপুরে ভাঙন শুরু হতেই ওই এলাকার মানুষদের চিন্তা বেড়েছে। পাশাপাশি প্রশাসন এখনও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেড়েছে অসন্তোষ।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: NIMHANS: নিমহান্স পরিচালিত প্রবেশিকা পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম বাঁকুড়ার ছাত্রী