করুণাময় সিংহ, মালদা: ফের পুলিশের ওপর হামলা। এবার মালদার কালিয়াচকে অভিযান চালানোর সময় পুলিশকে লক্ষ্য় করে চালানো হল গুলি। যদিও ঘটনায় আহত হননি কেউ। অন্য়দিকে, গোয়ালপোখরকাণ্ডে পুলিশের জালে ধরা পড়ল আরও এক।
ফের অ্য়াকশনে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। ফের পুলিশকে লক্ষ্য় করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। ফের রক্ষকই আক্রমণের শিকার। এবার ঘটনাস্থল মালদার কালিয়াচক। পুলিশ সূত্রে খবর, কালিয়াচক থানার সাইলাপুর গ্রামের একটি বাগানের মধ্য়ে মজুত করা হয়েছিল কাফ সিরাপ। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গুলি চালায়। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে স্থানীয় ২ বাসিন্দা বরুণ মণ্ডল এবং মিঠুন শেখকে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি 7 mm পিস্তল ও একটি ম্য়াগাজিন, ২ রাউন্ড লাইভ কার্তুজ এবং একটি গুলির খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এবিষয়ে বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, "তৃণমূলের আশ্রিত দুষকৃতীরা পুলিশকে দেখে বিন্দুমাত্র ভয় পাচ্ছে না। এই যে ভয়াবহ অবস্থা মালদা জেলার। কাউন্সিলর খুন হচ্ছেন,তৃণমূলের অঞ্চস সভাপতি খুন হচ্ছেন। এত অস্ত্র দুষ্কৃতীরা কোথা থেকে পাচ্ছে? এটা পুলিশের কী কোনও গোয়েন্দা রিপোর্ট নেই? কোন বর্ডার দিয়ে অস্ত্র ঢুকছে, বিহার থেকে কীভাবে অস্ত্র ঢুকছে? এগুলো সমস্ত পুলিশের কাছে তথ্য় থাকা দরকার। কিন্তু পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে কোনও তথ্য়ই থাকছে না। দুষকৃতীদের কাছে তথ্য় পৌঁছে যাচ্ছে। তাঁরা তৃণমূলের নিজেদের দলাদলিতে গুলি করছে, পুলিশকে গুলি করছে ভয় ভীতির কোনও ব্য়াপার নেই।''মালদা জেলা তৃণমূল মুখপাত্র আশিস কু্ণ্ডু বলেন, "বাংলার পুলিশ নিজের জীবন বাজি রেখে কাফসিরাপের খবর পেয়ে যখন প্রায় ১০০ বোতল কাফসিরাপকে বাজেয়াপ্ত করছে। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করছে। বাংলায় মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে আইনের শাসন আছে বলে পুলিশ এভাবে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে এভাবে সমস্ত ধরণের অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করছে। আর বিজেপি নিজেদের মধ্য়ে এই সমালোচনা করে বাংলাকে ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রে ছোট করছে।''
অন্য়দিকে উত্তর দিনাজপুরের গোয়লপোখরে পুলিশকে গুলি করার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ডালখোলা থানার পাতনোর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে গোয়লপোখর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম হবিবুর রহমান। তাঁর বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলার বলরামপুর এলাকায়। অভিযোগ, পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত পলাতক বন্দি সাজ্জাক আলমের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে দেওয়া এবং পালানোর জন্য় মোটরবাইকের ব্য়বস্থা করতে টাকা জোগাড় করেছিেলন হবিবুর ।
আরও পড়ুন: Ferry Service Disruption: ঘন কুয়াশার দাপট, কাটোয়ায় বন্ধ ফেরি পরিষেবা; ভোগান্তি যাত্রীদের