করুণাময় সিংহ, মালদা: নিয়োগে দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগ। যোগ্য প্রার্থীদের ছাপিয়ে, টাকার বিনিময়ে অযোগ্য়দের চাকরি পাওয়ার তথ্য উঠে আসছে। আদালতের নির্দেশে তাঁদের অনেকের চাকরি বাতিলও হয়েছে। সেই আবহেই মালদায় গ্রেফতার হলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা (Malda News)। ভয়ো জাতি শংসাপত্র (Fake Caste Certificate) দেখিয়ে তিনি চাকরি হস্তগত করেন বলে অভিযোগ (Primary Teacher Arrested)। 


২০২১ সালে হরিশচন্দ্রপুর বর্নাহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগ দেন


মালদার মানিকচক থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছেন। ওই শিক্ষিকা মানিকচক এলাকারই বাসিন্দা। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ভুয়ো জাতি শংসাপত্র দেখিয়ে দেড় বছর আগে চাকরি পান চাঁপা। ২০২১ সালে হরিশচন্দ্রপুর বর্নাহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগ দেন। গত দেড় বছর দিব্যি চাকরি করে যাচ্ছিলেন তিনি। 


আরও পড়ুন: Mamata-Salman Meet: ফিশফ্রাই-মিষ্টিতে আপ্যায়ন, নিজের আঁকা ছবিও সলমনকে উপহার মুখ্যমন্ত্রীর


 ২০২২ সালে চাঁপার নিযুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। আদালতের নির্দেশে মহকুমা শাসকের তদারকিতে শুরু হয় তদন্ত। ততেই ওই শিক্ষিকার জাতি শংসাপত্র জাল বলে প্রমাণিত হয়। এর পর চাঁপার নামে মানিকচক থানায় এফআইআর দায়ের করেন মহকুমা শাসক। শনিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে স্কুল অথবা জেলা প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে অয়নকে জেরা করলেন সিবিআই আধিকারিকরা


অন্য দিকে, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার অয়ন শীলকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জেরা করলেন সিবিআই অফিসাররা। সূত্রের খবর, শনিবার প্রায় তিন ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে সিবিআই সূত্রে দাবি, অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন অয়ন। তাই সেক্ষেত্রে অয়নকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।


পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ইডি-ও। অয়নকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জেরা করার জন্য কয়েক দিন আগে আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই। অয়নের বিরুদ্ধে রাজ্যের অন্তত ৬০টি পুরসভায় ৫ হাজার চাকরি বিক্রি করে ৪০ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। 


স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে এ যাবৎ ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে এসেছে। তাতে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের নেতাদের। সেই আবহে তৃণমূলের শিক্ষা সেলে রদবদল ঘটানো হল। প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হলেন সৌমেন রায়। কার্যকরী সভাপতি পলাশ সাধুখাঁ। তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হলেন প্রীতম কুমার হালদার এবং কার্যকরী সভাপতি হলেন বিজন সরকার। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি  ছেড়ে তৃণমূলে আসেন সৌমেন।